
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের স্বজনের দায়ের করা মামলার আসামিসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। এ সময় চুরি যাওয়া অটোরিকশাসহ মাদক উদ্ধার করা হয়। গতকাল শনিবার দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় আশুলিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- আশুলিয়ার জিরানীবাজারের কলতাসূতি ঢালীবাড়ী এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সেলিম কবির (৫০)। তিনি ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। এছাড়া আওয়ামী লীগের সক্রীয় কর্মী ও আশুলিয়ার কুমকুমারী এলাকার মৃত হাজী বিল্লাল মৃধার ছেলে হাজী মোশাররফ মৃধা (৪৮), আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কুরগাঁও সোসাইটি এলাকার মৃত আহম্মেদ সাইদ মিয়ার ছেলে মো. মিলন মিয়া (৪০)।
চোরাই অটোরিকশাসহ খাগড়াছড়ি জেলা মাটিরাঙ্গা থানার পলাশপুর ক্ষেতাচোড়া খালের পাড়ের মৃত রুহুল খানের ছেলে মো. আল আমিন (৪৩), লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব ডাউয়াবাড়ী গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. নাহিদ হোসেন (২৭)। এছাড়া ৪ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫ লিটার দেশীয় মদসহ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার পাহাড়পুর মাস্টারবাড়ী গ্রামের মো. বাদশা ফকিরের ছেলে মো. রহিম (৫০), রহিমের স্ত্রী মোসা. নাসিমা বেগম (৪৫), মো. লোকমানের ছেলে মো সেলিম (৪৫), নাসির আহম্মেদের ছেলে মো. আহাদ আহম্মেদ জিসান (২৩)। পুলিশ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগের অর্থ জোগানদাতা মো. সেলিম কবির, আওয়ামী লীগের সক্রিয়কর্মী হাজী মোশাররফ মৃধা ও মো. মিলন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করে আল আমিন, নাহিদ হোসেন ও মাদকসহ বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ছাত্র-হত্যা মামলার আসামিসহ ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।