ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

এক বছরেও স্থিতিশীল হয়নি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

এক বছরেও স্থিতিশীল হয়নি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের পতনের পর গত এক বছরে দেশের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি। সড়ক-মহাসড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি, মব ভায়োলেন্স ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা, প্রত্যন্ত গাইবান্ধ জেলার সাঘাটা উপজেলায় জামায়াতের এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা। গত সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার পতন-পরবর্তী এক বছর: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময়ে ৪৭১টি রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতায় ১২১ জন নিহত এবং ৫১৮৯ জন আহত হয়েছেন। রাজনৈতিক সংঘাতের ৯২ শতাংশ ঘটনায় বিএনপি, ২২ শতাংশ ঘটনায় আওয়ামী লীগ, ৫ শতাংশ জামায়াতে ইসলামী এবং ১ শতাংশে এনসিপির সম্পৃক্ততা রয়েছে।

টিআইবি জানিয়েছে, এসব সহিংসতার ঘটনার মধ্যে কিছু সহিংসতায় একাধিক দল জড়িত ছিল। আবার বিদ্যমান দলগুলোর মধ্যে দুটি দলের সহিংসতা ঘটেছে। এজন্য শতাংশ হিসাবে মোট ১২০ শতাংশ দেখা যাচ্ছে। মূলত কিছু ঘটনার দায় একাধিক দলের ওপর বর্তেছে, এজন্য হিসাবটা এমন হয়েছে।

টিআইবি তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পারিক অভিযোগ উত্থাপন অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে। সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের দখলে থাকা প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রমের দখল ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা এবং সংঘাতের মধ্যে ঢাকা শহরের ৫৩টি পরিবহন টার্মিনাল ও স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ২ কোটি ২১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি; সিলেটের কোয়ারি ও নদনদী থেকে পাথর লুটপাট; সেতু বাজার ঘাট বালুমহল ও জলমহল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুরো পুলিশ বাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম থমকে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সরকারবিরোধীদের ওপর দমন পীড়নে এমনিতেই মানুষ পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। উপরন্তু, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে নারী, শিশুসহ প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতা নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। ফলে সরকার পতনের পর তীব্র গণরোষের ভয়ে দুই লাখের বেশি সদস্যের এই বাহিনীর প্রধান আইজিপি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত বেশিরভাগ সদস্য গাঢাকা দেন। তিন দিন পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করার পর পুলিশকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়। তখন সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশি কার্যক্রম চলে। বর্তমানে সারা দেশে পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অনেক সক্রিয় ভুমিকা পালন করছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এক বছরে সারা দেশে খুনের মামলা হয়েছে তিন হাজার ৮৩২টি। এরমধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে খুনের মামলা হয়েছে এক হাজার ৯৩৩টি। এর আগের ছয় মাসে মামলা হয়েছে এক হাজার ৮৯৯টি। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ের এবং তারও আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের অনেক হত্যার মামলা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে।

প্রধান উপদেষ্টার দফতরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া অপরাধ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ১০ মাসে সর্বমোট মামলা হয়েছে তিন হাজার ৫৫৪টি। একই সময়ে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে দুই হাজার ১৩৬টি। একই সময়ে পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৪৭৯টি। অস্ত্র, বিস্ফোরক, অপহরণ, ধর্ষণ, দাঙ্গা ও অন্যান্য অপরাধসহ সব মিলিয়ে সর্বমোট মামলা হয়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৫টি।

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী এএসএম নাসির উদ্দিন এলান বলেন, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলেও আগের তুলনায় পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। ৫ আগস্টের পর পুলিশ বাহিনীর যে ডিজাস্টারটা হয়েছে, সেই ট্রমা থেকে বের হতে তো একটা সময় লাগে। এরইমধ্যে এ বাহিনী অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছে। এখন যারা পুলিশের নেতৃত্বে আছেন— তারা অনেক দক্ষ। অনেকটা শূন্য থেকে পুলিশকে শুরু করতে হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারও আছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দেওয়া তথ্য বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গত এক বছরে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও সংস্কারের ফলে বিগত এক বছর দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়নের ফলে পুলিশসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনগণের ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পুলিশের অধিকতর জবাবদিহিতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এগুলো হলো- সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন জাতীয় পুলিশ কমিশন গঠন করা, পুলিশ অ্যাক্ট-১৮৬১ ও পিআরবি’র প্রয়োজনীয় সংশোধন করা, বিশেষায়িত ইউনিটের বিধিবিধান প্রয়োজনীয়তার নিরিখে সংশোধন করা, জনপ্রত্যাশা পূরণে যুগোপযোগী ও নতুন আইন ও বিধি প্রণয়ন, বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের (বিশেষ শাখা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, এন্টি টেরোরিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ইত্যাদি) পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, ৯৯৯ ইউনিটের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা (অপারেশনাল, মানবসম্পদ ও লজিস্টিকস্) বৃদ্ধি করা, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ডিপ্লোমেটিক জোন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের দুর্যোগপূর্ণ সময়ে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও অপরাধ দমনে এপিবিএন-এর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা (অপারেশনাল, মানবসম্পদ ও লজিস্টিকস্) বৃদ্ধি করা। এসব পদক্ষেপের ফলে দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশের জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে। একটি সুপ্রশিক্ষিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে সমসাময়িক বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড রোধের মাধ্যমে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও জনস্বস্তি আনয়নে সক্ষম হয়েছে। সরকার গৃহীত কার্যক্রমে বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্যবৃন্দের সাথে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় পুলিশের আইনী কাঠামো সংস্কার, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, পেশাগত দক্ষতা, সাংগঠনিক সক্ষমতা ও কল্যাণের নানা প্রস্তাবনা পুলিশের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়।

অনলাইন জিডি: সাধারণ জনগণের পুলিশি সেবা দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া ও জনদুর্ভোগ হ্রাস করার জন্য অনলাইন জিডি সেবা কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। এই অনলাইন জিডি পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ এবং সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল থানায় প্রবর্তন করা হয়েছে। এ কার্যক্রম বাংলাদেশের সকল থানায় পর্যায়ক্রমে প্রবর্তন করা হচ্ছে। বিজিবি’র পদক্ষেপ: বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) তাদের নিয়োগ কাঠামো সংস্কারের মাধ্যমে ন্যূনতম স্নাতক পাশ বাংলাদেশি নাগরিকদের জুনিয়র কর্মকর্তা পদে সরাসরি নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে বিদ্যমান বিওপিগুলোকে যুদ্ধ ও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্ট্রং পয়েন্ট বিওপি হিসেবে উন্নীত করা হবে। বর্তমান কাস্টমস অ্যাক্টের পরিবর্তে বিজিবি অ্যাক্ট প্রণয়ন এবং সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবিকে আইন প্রয়োগ ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইন সংশোধনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে ড্রোন ও সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম যুক্ত করা, প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র (শর্টগান, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল, পিপার স্প্রে ইত্যাদি) সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে। বিজিবির দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে মাদক ও চোরাচালান রোধ কার্যকর হয়।

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পদক্ষেপ: সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সংক্রান্ত নীতিমালা সংস্কারের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নে ১০৯টি ইউনিটের মধ্যে ৯৩টির ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে শেষ হবে। বাহিনীতে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য নতুন সৃষ্ট অসামরিক পদসমূহ নিয়োগ বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় জনবল নিয়োগ সম্ভব হয়নি; বিধিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। ট্রেনিং বেইস, ৩টি জোনের ফায়ার ট্রাক ইউনিট ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য মোট ৪৮টি পদ, বিদ্যমান ইউনিটের জন্য ১৬৯টি অসামরিক পদ এবং জাইকা প্রদত্ত ২৪টি রেসকিউ বোট ও ১টি প্রশিক্ষণ বোট পরিচালনার জন্য ১১৩টি পদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়া কোস্ট গার্ড জরুরি পরিষেবা (শর্ট কোড) চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের জুলাইয়ে আমরা (পুলিশ) একটা ধাক্কা খেলাম। সবকিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। পুরো এক বছরতো হলো। সেখান থেকে ক্রমান্বয়ে সার্বিক অবস্থার উত্তরণ ঘটিয়ে এ অবস্থায় আসলো। এরমধ্যে আবার গত বছরের আন্দোলনে হাজারের ওপরে যে শহীদ হয়েছেন, সেগুলো নিয়ে হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলা তদন্ত নিয়ে পুলিশের ওপর অনেক বড় চাপ গেছে। তারপরও সঠিক মামলাগুলোকে রেখে যাতে অন্যায়ভাবে কারও ওপর অবিচার না হয়, সেটাও দেখতে হয়েছে। ভুলভ্রান্তি নেই যে তা নয়, তারপরও পুলিশের ভালো উত্তরণ হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যখন আইনের শাসন থাকে না, তখন মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। মব ভায়োলেন্সও এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এ কথা অনস্বীকার্য ৫ আগস্টের পর আমরা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অন্তর্বর্তী সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের সব পর্যায়ের সদস্যদের আন্তরিকতার ফলে ধীরে ধীরে পুলিশের মনোবল ফিরে এসেছে। বর্তমানে পুলিশ সদস্যরা পেশাদারত্বের সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশের সব পর্যায়ের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে।’ তিনি বলেন, ‘আগের তুলনায় বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি যাতে আরও উন্নত করা যায়— সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে।’ সবার সহযোগিতায় পুলিশ সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত