
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হয়ে উঠেছে আয়ের অন্যতম মাধ্যম। ফেসবুকে আয় করাকে ঘিরে গ্রাম থেকে শহরে দিন দিন বাড়ছে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের আগ্রহ। তবে ফেসবুকের এ আয় নিজের পকেটে আনতে চাইলে আগে ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল মনিটাইজেশন করতে হবে। ফেসবুক পেজ বা প্রোফাইল মনিটাইজেশন হলে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে আগে এই মনিটাইজেশন পাওয়া সহজ হলেও এখন তা সোনার হরিণ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দিন দিন কঠোর হচ্ছে এ ব্যাপারে। তবে সহজ কিছু কৌশল ব্যবহার করে আপনি সহজেই প্রোফাইলে মনিটাইজেশন পেতে পারেন। ফেসবুক এখন প্রফেশনাল মোড চালুর সুযোগ দিয়েছে যেটা ব্যক্তিগত প্রোফাইলকে কনটেন্ট ক্রিয়েটরের প্রোফাইলে পরিণত করে। এটি চালু করলে আপনি পাবেন এনালিটিক্স, ফলোয়ার বাড়ানোর অপশন, রিলস মনিটাইজেশন, স্পনসর্ড কনটেন্ট সুবিধা; যা থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। এজন্য যা দরকার- প্রথমে আপনার প্রোফাইলে মনিটাইজেশন অ্যাকটিভ করে নিন। এজন্য প্রোফাইলে প্রফেশনাল মোড চালু করুন। ক্রিয়েট স্টুডিও বা মেটা বিজনেস সুইট অ্যাপ ডাউনলোড করুন। কনটেন্ট পারফর্মেন্স নিয়মিত চেক করুন। যদি রিলস প্লে বোনাস/অ্যাডস অন রিলস বা স্টার সুবিধা পাওয়া শুরু করেন, তাহলে ফেসবুক আপনাকে পেমেন্ট সেটআপ করতে বলবে। পেমেন্ট সেটআপের জন্য পেওনার বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করুন। ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য কিছু শর্ত আছ। যেমন- বয়স ১৮ বা তার বেশি। ফলোয়ার সংখ্যা কমপক্ষে ৫ হাজার (রিলস বোনাস পেতে হলে) ভিডিও কনটেন্ট নিয়মিত পোস্ট করতে হয়। কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলা। এসব শর্ত আপনাকে মানতে হবে। সেই সঙ্গে আরও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যেমন- কপিরাইটযুক্ত ভিডিও বা সংগীত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। নিয়মিত কমিউনিটি গাইডলাইন অনুসরণ করুন। অন্যের ভিডিও বা কনটেন্ট চুরি করবেন না। ব্যক্তিগত মতপ্রকাশে সংবেদনশীলতা বজায় রাখা।
কোন কনটেন্ট থেকে আয় হয়? রিলস ভিডিও। বর্তমানে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে রিলসের ওপর। রিলসের মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন- রিলস বোনাস। কিছু দেশে এই বোনাস সুবিধা আছে, যা ১০০ ডলার থেকে শুরু হতে পারে। এছাড়া অ্যাডস অন রিলস, যা রিলস ভিডিওর মাঝখানে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাড দেখায়, এখান থেকে ইনকাম হয়। ব্র্যান্ড কোলাব ম্যানেজার থেকেও আয় করা যায়। আপনি যেসব ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেন, সেগুলোর সঙ্গে ফেসবুক অ্যাফিলিয়েশন বাড়ায়। এছাড়া ?লাইভ স্ট্রিমিং থেকেও আয় করার সুযোগ পাবেন। লাইভ চলাকালীন ফ্যানেরা স্টার পাঠাতে পারে যেটা টাকার রূপ নেয়। স্পন্সর ব্র্যান্ড লাইভে অংশগ্রহণ করিয়ে অর্থ প্রদান করে। যদি আপনার প্রোফাইল যথেষ্ট জনপ্রিয় হয় (বেশি ফলোয়ার, রিচ), তাহলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আপনাকে পণ্য প্রোমোট করতে বলবে। এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং লাভজনক উপায়।