ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রাজধানীতে তীব্র যানজটে ভোগান্তি

রাজধানীতে তীব্র যানজটে ভোগান্তি

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গতকাল বুধবার তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভণ্ডসড়ক অবরোধসহ বেশ কয়েকটি বিষয় এই যানজটের কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, সায়েন্স ল্যাবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেন। পল্টনে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি আছে। এ ছাড়া ছুটির পরদিন হাওয়ায় সড়কে যানবাহনের চাপ আছে; পাশাপাশি সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ থাকায় যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা আধা ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়েন। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে বুধবার ঢাকায় ‘বিজয় র‍্যালি’ করে বিএনপি। বেলা তিনটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‍্যালি শুরু হওয়ার কথা। এই কর্মসূচি ঘিরে পল্টনসহ আশপাশের এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে রাজধানীর বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করেছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নেতা-কর্মীরা। তাঁরা ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছিলেন। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা বাড্ডায় সড়ক অবরোধ করেন। সড়ক অবরোধের কারণে বাড্ডা, বাড্ডা কাঁচাবাজার, হোসেন মার্কেট, মেরুল বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। তৈরি হয় তীব্র যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। গতকাল সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে কয়েকটি পিকআপে করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নেতাকর্মীরা বারিধারা দূতাবাসের উদ্দেশে রওয়ানা করে। পরে বাড্ডা লিংক রোডের কাছে প্রায় ঘণ্টা খানেক রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে দলটি। এ সময় পুরো বাড্ডা, গুলশান, লিংক রোড এলাকায় তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। যানজট ছড়িয়ে পড়ে হাতিরঝিল এলাকায়ও। বিকাল গড়ালেও যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক হতে দেখা যায়নি। এদিকে এদিন জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি বর্ষপূর্তি মাসব্যাপী উদযাপনের অংশ হিসেবে সারা দেশের মহানগর র‌্যালি করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে রাজধানীর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হ”েছ। যার কারণে পল্টনে নেতাকর্মীদের উপ¯ি’তি বাড়ায় আশেপাশের সড়কে ছড়িয়ে পড়েছে গাড়ি জট। রামপুরা-বাড্ডার সড়কেও যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। এছাড়া এদিন বেলা ১১টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দুই দফা দাবি নিয়ে মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে সরকারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। ফলে নিউ মার্কেট ও সাইন্সল্যাব সড়কে যাননাহনের চলাচলে ধীরগতি দেখা যায়। সড়কে এ চাপ বিকাল পর্যন্ত ¯’ায়ী হয়। এছাড়াও বিকালে রাজধানীর পল্টন, শান্তিনগর, মগবাজার কাকরাইল, মতিঝিল ও মৎস্য ভবন এলাকার সব সড়কে যানজটের চিত্র দেখা গেছে। ওইসব এলাকায় যানজটের কারণে অনেকে গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হতে দেখা গেছে। গতকাল দুপুরে রামপুরা থেকে কাকরাইলে উদ্দেশে রওনা হওয়া একজন যাত্রী মাহাবুব মোর্শেদ বলেন, সারা রাস্তায় গাড়ি আটকানো। মৌচাক মোড়ে গিয়ে রিকশা নেবো। রিকশা নিয়ে গলির ভেতর দিয়ে যেতে হবে তা ছাড়া এখন উপায় নাই। এ ভোগান্তির শেষ কোথায়।

ওই এলাকার আরেকজন যাত্রী বলেন, শুনেছি বাড্ডার দিকে না কী রাস্তা বন্ধ ছিল। এজন্য এদিকে চাপ বেড়েছে। গাড়িতে বসা ছিলাম নেমে গেছি। মধ্য বাড্ডা যাবো। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মামুন মিয়া বলেন, কয়েকটি কর্মসূচির কারণে গতকাল সকাল ১০টা থেকেই রামপুরা-বাড্ডা রোডে যানবাহন চলাচলে এখন ধীরগতি রয়েছে। লিংক রোডে বেলা ১১টার দিকে রাস্তা বন্ধ ছিল। যার কারণে আশেপাশের সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া নয়া পল্টনে বিএনপির কর্মসূচি চলছে। এ কারণে সড়কে গাড়ির চাপ রয়েছে। দলটির কর্মসূচি শেষ হলে সড়কে আরও যানবাহনে চাপ বাড়বে বলে ধারণা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত