ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

৫৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় ৭০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

৫৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকায় ৭০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

দেশের কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমেটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ৭০ হাজার টন সার কিনতে ব্যয় হবে ৫৪৮ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ২৫০ টাকা।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও সৌদি আরবের মা আদেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিএডিসি সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানি করে। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় আগের চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর আবার চুক্তি নবায়ন করা হয়। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে এখন ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অনুযায়ী, এ সার আনতে ব্যয় হবে ৩ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৮৩ কোটি ৬২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭৮১ ডলার। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ৫০ লাখ টন ইউরিয়া সার কেনার সংশোধিত চুক্তি সই হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রথম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার জন্য প্রাইস অফার পাঠানোর অনুরোধ করা হলে কাফকো, বাংলাদেশ প্রাইস অফার পাঠায়। কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযয়ী, ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সারের জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৬৪ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি টনের দাম ধরা হয়েছে ৪৪৮ দশমিক ৩৭৫ ডলার। এদিকে, বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কনভারশন অব ওয়েট প্রসেস টু ড্রাই প্রসেস অব সিসিসিএল’ প্রকল্পের আওতায় এলএসটিকে ভিত্তিতে সিমেন্ট প্ল্যাট স্থাপন কাজের ব্যয় কমানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পটির ব্যয় ২০ লাখ ১৩ হাজার ৩৫৫ মার্কিন ডলার কমানো হয়েছে। এই প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ছিল ৭ কোটি ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮০০ ডলার। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৭ লাখ ৬২ হাজার ৪৪৫ ডলার। প্রকল্পটির কাজ করছে চীনের মেসার্স নানজিং সি-হোপ সিমেন্ট ইঞ্জিনিয়রিং গ্রুপ কোম্পানি লিমেটেড।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত