
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৬০ কোটি টাকার গৃহকর নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে যৌথ জরিপ কমিটি গঠন করবে। বন্দরের গৃহকরের হার নির্ধারণ করবে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি। কমিটি গঠন করতে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে সিটি করপোরেশনের দুজন প্রতিনিধির নাম দেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়। যৌথ জরিপ কমিটি গঠন এবং বন্দরের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। প্রতিনিধি হিসেবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে থাকবেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম সরওয়ার কামাল ও প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বন্দরের চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যৌথভাবে জরিপের মাধ্যমে অনিষ্পন্ন পৌরকর (গৃহকর) সংক্রান্ত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে প্রকৃত বার্ষিক গৃহকর নির্ধারণ করবে। চিঠিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের জন্য সিটি করপোরেশনের দুজন প্রতিনিধির নাম প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়নের পর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ১৬০ কোটি টাকা নির্ধারণ করে সিটি করপোরেশন। অপসারিত মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সময় বন্দরের আবেদনের পর তা ৪৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বর্তমান মেয়র শাহাদাত হোসেন ১৬০ কোটি টাকা দাবি করেছেন। গত অর্থবছরে দুই দফায় ১৪৫ কোটি টাকা পরিশোধ করে বন্দর। এই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চলতি অর্থবছরের ১৬০ কোটি টাকা এবং আগের বকেয়া ১৭ কোটি টাকা পরিশোধের জন্য ১০ জুলাই বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিল দেয়। এরপর ২৯ জুলাই সিটি করপোরেশনকে পাল্টা চিঠি দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দরের চিঠিতে বলা হয়েছে, যৌথ জরিপের মাধ্যমে বন্দরের জন্য গৃহকর নির্ধারিত হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে নির্ধারিত হওয়া এই গৃহকর ২০২৫-২৬ অর্থবছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। চলতি অর্থবছরেও গৃহকর খাতে ৪৫ কোটি টাকা পরিশোধযোগ্য। তাই ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪৫ কোটি টাকা সমন্বয় হওয়ার পরেও অতিরিক্ত ৫৫ কোটি টাকা পরিশোধ করা আছে। ফলে এই অর্থবছরে গৃহকর খাতে কোনো বকেয়া নেই। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌথ জরিপ করে নতুনভাবে গৃহকর নির্ধারণের জন্য সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ জানায় বন্দর।