
ড্রাগন ফল তার অনন্য স্বাদ, কম ক্যালোরি এবং উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। এতে প্রচুর ভিটামিন সি, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল থাকলেও এটি সবার জন্য সমানভাবে উপযোগী নাও হতে পারে। বিশেষ করে বেশি পরিমাণে খাওয়া বা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
অ্যালার্জি রিঅ্যাকশন : ড্রাগন ফল সাধারণত নিরাপদ হলেও, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি হতে পারে।
সম্ভাব্য লক্ষণ : ত্বকে লালচে দাগ, চুলকানি, ফোলা, ঠোঁট বা জিভ ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
কারণ: এতে থাকা প্রোটিন বা নির্দিষ্ট উদ্ভিজ্জ উপাদান কিছু মানুষের ইমিউন সিস্টেমে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। যদিও ফলের অ্যালার্জি তুলনামূলক বিরল।
হজমজনিত সমস্যা : ড্রাগন ফলে প্রচুর ফাইবার থাকে। অতিরিক্ত ফাইবার গ্রহণের ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, ডায়রিয়া বা পেট ব্যথা হতে পারে।
যাদের জন্য ঝুঁকি বেশি : ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (ওইঝ) বা সংবেদনশীল হজমপ্রক্রিয়ার রোগীরা। অতিরিক্ত ফাইবার একবারে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া : ড্রাগন ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও, ডায়াবেটিস রোগীরা ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি বেশি খেলে রক্তে শর্করা হঠাৎ কমে যেতে পারে।
সমস্যা: মাথা ঘোরা, ঘাম, কাঁপুনি, দুর্বলতা। আমেরিকান দায়াবেতিস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, প্রাকৃতিক চিনিযুক্ত খাবারও রক্তে শর্করার মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে।
মূত্র ও মলের রং পরিবর্তন : লাল ড্রাগন ফল খাওয়ার পর অনেকের মূত্র বা মলের রং গোলাপি বা লাল হতে পারে। এটি ক্ষতিকর নয়, তবে অনেকেই এটি রক্ত ভেবে উদ্বিগ্ন হন।
ওষুধের সঙ্গে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া : যারা অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট (রক্ত পাতলা করার ওষুধ) বা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান, তাদের জন্য ড্রাগন ফলের উপাদান ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে।