
যশোরের কেশবপুরে কন্দর্পপুর গ্রামে সফল নারী উদ্যাক্তা হতে বসতবাড়ির আঙিনায় দুই একর জমিতে পুকুরে মাছের চাষ, হাঁসের ও কৃষি খামার গড়ে তুলেছে মাজেদা পারভীন এগ্রোফার্মের মালিক মাজেদা পারভীন। সরকারিভাবে আর্থিক সহোযোগিতা নিয়ে এলাকায় সেরা উদ্যাক্তা হতে চান মাজেদা পারভীন।
কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের কন্দর্পপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান আব্দুল লতিফের স্ত্রী মাজেদা পারভীন একজন গৃহিণী। এইচএসসি পাস মাজেদা পারভীন একজন গৃহবধূ হয়েও কেশবপুর পৌর শহরে তার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’ ঘরে সময় দিতেন এই দুই সন্তানের জননী। এরমধ্যে তিনি বসতবাড়ির আঙিনায় মিশ্র কৃষি ফার্ম গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তার পুত্র তাহমিদ আহমেদ দৌলতপুর কৃষি ইঞ্জিনিয়ারিং (ঝঞও) কলেজের ছাত্রের পরামর্শ নিয়ে কন্দর্পপুর গ্রামে নিজেদের বসতিবাড়ির আঙিনায় দুই একর জমিতে পুকুরে মাছের চাষ, হাঁস ও কৃষি নার্সারির কাজ শুরু করেছেন।
তার মাজেদা পারভীন এগ্রোফার্মের ভেতরে এই ফার্ম গড়ে তুলেছেন। কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের কন্দর্পপুর গ্রামে মাজেদা পারভীনের মাজেদা পারভীন এগ্রো ফার্ম লিঃ ঘুরে দেখা গেছে, তার বসতবাড়িতে হরেক রকমের কৃষি ফার্ম গড়ে তুলেছেন। ঘুরে দেখা গেল, কি নেই তার ফার্মে। সেখানে রয়েছে- মাছের খামার, হাঁসের খামার, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন উন্নতজাতের আম গাছের বাগানে রয়েছে কাটিমন, থাইল্যান্ডের কিউজাই, মিয়া জাঁকি, গৌরমতি, বারী-১১, আম্রপালি, বারমাসি আম গাছের চারা, ভিয়েতনামের নারিকেল গাছ, পেয়ারা, সুপারি, ছবেদা, ডালিম, লিচু, ড্রাগন, হরেকরকম বাহারি জাতের ফুল, শাকসবজি, তরিতরকারি, বিভিন্ন জাতের কলা। সবজির খেতে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, পালংশাক, লালশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, পাতাকপি, ওলকপি, বিটপকি, গাঁজর, মুলা, কুল, বেদানা, ডালিম ও বিভিন্ন জাতের লিচু গাছের চারা সবাই তার বাগানে রয়েছে।
বিভিন্ন জাতের আম বাগানের গাছে এরই মধ্যে মুকুল ধরেছে। একইভাবে মাছের খামারের পুকুরে বিচরণ করতে দেখা গেছে একঝাঁক দেশি পাতিহাঁস। বসতঘরের বারান্দায় বেলকনিতে বিভিন্ন বাহারি জাতের ফুলের গাছ লাগিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছেন। তাছাড়া আরও রয়েছে- নাম না জানা বিভিন্ন জাতের ফুলের গাছ। মাজেদা পারভীন এগ্রোফার্মের মালিক মাজেদা পারভীন বলেন, আমার এই এগ্রোফার্ম গড়ে তুলতে স্বামী আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে দৌলতপুর কৃষি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র তাহমিদ আহমেদের পরামর্শ ও অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এই এগ্রোফার্ম গড়ে তুলতে এই পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। পারিবারিক সূত্রে তাদের আরও অনেক জমি রয়েছে। এই জমিতে কৃষি ইনস্টিটিউট ও কৃষি পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।