
লালমনিরহাটে খরিপের পর এবার রবি মৌসুমের সবজিতে স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় রবি সবজি চাষের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবি মৌসুম আসতে এখনও প্রায় ৩ মাস সময় থাকলেও চাষিরা আগাম জাতের সবজি চাষে মাঠে নেমেছেন। আগাম জাতের রবি সবজি ফলাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ভালো ফলনের আশা করছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শীত (রবি) ও গ্রীষ্মকালীন (খরিপ) সবজি চাষাবাদ করা হয়। গ্রীষ্মকালীন সবজি উত্তোলন এখনও শেষ হয়নি। এর পাশাপাশি কৃষকরা এখনই আগাম জাতের রবি সবজি চাষে মাঠে নেমেছে। উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা বলছেন, নানা জাতের সবজি বীজতলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, আগাম জাতের সবজি চাষে যেমন লাভ রয়েছে, তেমনি ঝুঁকিও আছে। বীজতলার ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা আরও বেশি। কমবেশি বৃষ্টি লেগেই আছে। পাশাপাশি রোদের সঙ্গে রয়েছে ভ্যাপসা গরম। এতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের চাষি হযরত আলী জানান, সবজির বীজতলার জমি অবশ্যই উঁচু হতে হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর জাত ভেদে নিয়মানুযায়ী সবজির বীজ বপন করতে হয়। তার আগে বীজতলার জন্য বাঁশ ও প্লাস্টিকের ছাউনি তৈরি করে নিতে হবে। তাহলে প্রতি দল (২৭) শতক জমিতে খরচ বাদে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও জানান, সারা দেশেই লালমনিরহাটের সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রবি মৌসুমের জন্য কৃষকরা পুরো প্রস্তুতি নিয়েছে হলেও জানান ওই কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শিয়ালখাওয়া, চাপারহাট, ভোটমারী, দৈখাওয়া, সিঙ্গিমারী, কুমড়িরহাট, চন্দনপাট, বড়কমলাবাড়ী, হাজীগঞ্জ, চন্ডীমারি, কর্ণপুর, দুড়াকুটি, ফুলগাছ, কোদালখাতায় বছরের বারো মাস সবজি চাষ হয়ে থাকে। এ চাষে আমরা কৃষকদের উৎসাহিত করছি। তারা যেন এ চাষে লাভবান হতে পারে।