
গণসংহতি আন্দোলনের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জনগণের মুক্তিসংগ্রাম ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় হয়েছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার এখনও বিদায় হয়নি। চব্বিশের অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে দরকার ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার নিরসন করা। যে সরকার ও শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারি প্রতিষ্ঠা হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা বদলের জন্য লড়াই করছি।’ জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা এমন এক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই— যেখানে নাগরিক হিসেবে সবাই আত্মমর্যাদা নিয়ে বসবাস করবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন এখন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।’ ‘অধিকার ও মর্যাদার বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ, জনগণের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা সংগ্রাম করে আসছি। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তর সম্পন্ন করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, সম্পাদকম-লীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান মোল্লা, পেশাজীবী সংহতির সংগঠক রুম্মন সিদ্দিকী, সাভার থানা সমন্বয়ক এফ এম নুরু, আশুলিয়া থানা সংগঠক রোকনুজ্জামান মনি, মিরপুর অঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক রতন তালুকদার, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহীম চৌধুরী, ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক অনুপম রায় রুপক, ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তুহিন ফরাজীসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা ওয়ার্ডের নেতারা।