নির্বাচনি মাঠে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী তৎপরতার মাধ্যমে একটি পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী। নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আমজাদ হোসেনের নির্বাচনি জনসভায় সশস্ত্র হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার। বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, গত ৩ ডিসেম্বর বিকেলে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের শেখেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ জনসভায় বিএনপি নামধারী ৫০-৬০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হামলাকারীরা নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে সভা প- করে দেয়। এই নৃশংস হামলায় জামায়াতের প্রার্থী ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসেনসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এদের কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনজন কর্মী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার নামে এ ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচনি আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন। নির্বাচনি মাঠে সন্ত্রাসী হামলা করে একটি পক্ষ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে—দেশবাসী এটি কখনো মেনে নেবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানান। একই সঙ্গে সব নেতাকর্মীকে ধৈর্য, শৃঙ্খলা ও সাংগঠনিক ঐক্য বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা জরুরি। নিখোঁজ তিন কর্মীকে উদ্ধারে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান। পাশাপাশি নির্বাচনি পরিবেশ সুরক্ষায় সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। তার সঙ্গে ছিলেন নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের প্রার্থী মাওলানা আমজাদ হোসেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সহকারী প্রচার সেক্রেটারি আবদুস সাত্তার সুমন এবং মাধবদি উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল আজিজ। হাসপাতালে এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসকদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতের অনুরোধ জানান।
