
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিস্ট এ রাজনৈতিক দলটি দেশে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে প্রমাণ করছে তাদের নেশাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশি-বিদেশি কোনও শক্তিই এ নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।’ গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় শরীয়তপুরে সুরেশ্বর দরবার শরিফে মাজার জিয়ারত করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘কোনও শক্তিই ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। নির্বাচনকে যারাই প্রতিহত করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে, তবে সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মতপার্থক্য থাকলেও একটি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সবাই চাচ্ছে। খুব সুন্দর একটা ইলেকশন দেখতে পাবেন। যেটা ফ্রি, ফেয়ার ও এক্সক্লুসিভ হবে; যেখানে সমস্ত জনগণ অংশগ্রহণ করবে। খুবই উৎসবমুখর পরিবেশে ইলেকশন হবে।’
প্রেস সচিব অভিযোগ করেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে খুবই সতর্ক। গতকালকে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। কোনও ধরনের জ্বালাও পোড়াও বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমেই তারা প্রমাণ করেছে, কেন তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
‘আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী দল। কোনও অবস্থায় তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কোনও সন্ত্রাসী দল দেশে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। আওয়ামী লীগ বিভিন্ন সময় বিএনপির ওপর হামলা চালিয়েছে, শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের লোকজনদের নির্বিচার হত্যা করেছে। তাদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’