যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জাতীয় শহিদ সেনা দিবস’ পালন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর, পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে শহিদ ব্যক্তিবর্গের স্মরণে এ দিবস পালন করে তারা। দিবসটি পালন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বাদ ফজ্বর হতে জোহরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত শহিদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফেরাতের উদ্দেশে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের মসজিদসমূহে খতমে কোরআন আয়োজ্বন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিজিবির সব স্থাপনায় বিজিবি রেজিমেন্টাল পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ্ব পরিধান করে। সকাল ৯টায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজ্বর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে বিজিবি মহাপরিচালক পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। বাণীতে তিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শহিদদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজ্বনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে পিলখানাস্থ বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদসহ বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের সব মসজিদ ও বিওপি পর্যায়ে শহিদ ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), বিডিআর হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজ্বর জেনারেল আ ল ম ফজ্বলুর রহমান (অব.) সহ কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা, বিজিবি মহাপরিচালক মেজ্বর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রিত অতিথি, শহিদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবীর সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
