ঢাকার গুলশান, বিমানবন্দর ও গাজীপুর মেট্রোর সদর থানাধীন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে ছিনতাইয়ের অভিযোগে চক্রের ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একাধিক দল গত বুধবার বিকাল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস্ এবং মিডিয়া অফিসার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সালমান নূর আলম জানান, গোয়েন্দা অনুসন্ধানে রাজধানীর বিমানবন্দর, বনানী, রূপগঞ্জ, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী এবং গাজীপুর থানাধীন এলাকায় ছিনতাইকারী, অজ্ঞানপার্টি ও কিশোর গ্যাং চক্রের তৎপরতা বেড়েছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, গাড়ি, টাকা-পয়সা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি ছিনতাই করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ে জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। র্যাব-১ এর একাধিক দল ডিএমপি ঢাকার গুলশান থানাধীন মাদানী এভিনিউ এলাকা হতে গাজীপুর সদর থানাধীন চতরবাজার এলাকা এবং বিমানবন্দর থানাধীন ঢাকা টু ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে ফুট ওভার ব্রিজ সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপর পৃথক পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. ইমন, রতন, ইয়াসিন, সোহেল রানা, জাহিদ হাসান, মো. সাকিব, মো. ইমান ওরফে ইমাম হোসেন, মো. মারুফ, মো. পলাশ, মো. শুভ, মো. বাছির, মো. সাগর, মো. আনোয়ার, মো. আরিফ, মো. শাহিন। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সুইচগিয়ার চাকু, ৬টি ফোল্ডিং চাকু, একটি ক্ষুর উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।