সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে বহু দক্ষ, অভিজ্ঞ ও মেধাবী প্রবীণ রয়েছেন, কিন্তু তাদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতাকে কোথাও কাজে লাগানো হচ্ছে না। বিশাল এ প্রবীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সেবামূলক কাজ করতে হবে।’ গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের প্রবীণ হিতৈষী ভবনে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী কমিটির ত্রিবার্ষিক নির্বাচন (২০২৫-২০২৭) এর নবনির্বাচিতদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যারা প্রবীণ দীর্ঘ বছর অনেক দুঃখ, কষ্ট পেরিয়ে আজ হাসিমুখে একসঙ্গে এত মুক্তিযোদ্ধা এসে দাঁড়িয়েছি। ’৭১ সালে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা যখন দেশ স্বাধীন করেছি, আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে প্রবীণ হিতৈষীদের উন্নয়ন সম্ভব হবে।’ তিনি আরও বলেন, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিময় সুন্দর সম্মানজনক অবস্থায় দিন কাটানো। এ রকম পরিবেশ বা সম্মানজনক অবস্থা যখন পান না, তখন প্রবীণ বয়সে তারা বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকেন। এ জন্য দক্ষ, অভিজ্ঞ ও মেধাবী প্রবীণদের সমন্বয়ে একটি কমিউনিটি দাঁড় করাতে হবে, যাতে প্রবীণদের সেবামূলক কাজ করতে পারেন। উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘ ২ বছর এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত কমিটি ছিল না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সংঘের হাসপাতাল ও নিবাসটি পরিচালনায় ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্বলতা রয়েছে, যা থেকে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় উত্তরণ করা সম্ভব। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন এ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে শুধু কেন্দ্রের কার্যক্রম নয়, সারা দেশে এই সংঘের যে ৯২টি শাখা রয়েছে। তার স্বাভাবিক কার্যক্রম ও চিকিৎসাসেবা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। উপদেষ্টা নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির ১৯ জন সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল হক সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইন্তেজার রহমান ও সংঘের পরিচালক (প্রশাসন) কর্নেল লোকমান আলী প্রমুখ।