ঢাকা সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ইসলামপন্থিরা এবার একক প্রার্থী দিতে চায়

জানালেন চরমোনাই পীর
ইসলামপন্থিরা এবার একক প্রার্থী দিতে চায়

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ইসলামি দল মিলে একটি বাক্স দেওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। এবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমও জানালেন সেই সম্ভাবনার কথা। সেই প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে চরমোনাই পীর আশা করছেন, তাদের এই উদ্যোগ সফল হবে।

গতকাল মাগুরার শালিখায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জনতার প্রতি আহ্বান রেখে চরমোনাইর পীর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বহু শাসক আমরা দেখেছি। বহু নীতিও আমরা দেখেছি। আমাদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র আমরা পাই নাই। এবার ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে হবে। ইসলামপন্থি সকলে এবার আসনভিত্তিক একক প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনারা যে দলই করেন না কেন, এবার দেশের স্বার্থে ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে কাজ করুন। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছবেই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো পরিবর্তন হয় নাই। চাঁদাবাজি, দখলদারি, পেশীশক্তির প্রদর্শন এখনো বিদ্যমান। কারা এগুলো করছে তা আমরা সবাই জানি। জনপ্রশাসনসহ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতিত স্বৈরাচারের রেশ এখনো আছে। এই অবস্থায় নির্বাচনকে মুখ্য করে তোলার কোনো কারণ নেই। বরং সংস্কার করে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্রকাঠোমো নিশ্চিত করেই নির্বাচনে যেতে হবে।

মুফতি রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশের শিল্প খাতে জ্বালানি একটি প্রধান সমস্যা। অপ্রতুল জ্বালানি এবং জ্বালানির দাম নিয়ে স্থিতিশীল কোন নীতি না থাকার কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাগ্রস্ত থাকে। সাম্প্রতিক সরকার বিনিয়োগ সম্মেলন করল। সেখানে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করার নানা চেষ্টা করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। অথচ এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

চরমোনাই পীর বলেন, গ্যাসের দাম নির্ধারণের এই বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নতুন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। একই খাতে ব্যবসারত পুরোনো কারখানা কম দামে গ্যাস পাবে। নতুন কারখানাকে বাড়তি দাম দিতে হবে। ফলে নতুনরা পুরোনোদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়বেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে নীতির ধারাবাহিকতা থাকা আবশ্যক। নীতি অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ সিদ্ধান্তকে দ্বিধাগ্রস্ত করে। ফলে নুতন শিল্পের জন্য ৩৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং ব্যবসা সংক্রান্ত নীতিতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত