ঢাকা শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

যুবলীগ নেতা গাজী সারোয়ার বাবুর সম্পদ ক্রোক

যুবলীগ নেতা গাজী সারোয়ার বাবুর সম্পদ ক্রোক

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলার আসামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর নামে থাকা ছয়তলা ভবন, দোকানঘর ও জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ক্রোক আদেশ হওয়া এসব স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে সদরঘাটের গ্রেটওয়াল শপিংমলে থাকা ১৬টি দোকানঘর, যাত্রাবাড়ীতে ছয়তলা ভবন এবং একই এলাকায় সাড়ে সাত শতক জমি রয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক খোকন চন্দ্র মোহন্ত এসব সম্পদ ক্রোক আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৫ লাখ ৫২ হাজার ৫২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিবরণী দাখিল এবং জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৪৭ লাখ ৩২ হাজার ৫৯৮ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক তা দখলে রাখার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা মামলা তদন্তকালে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর গ্রেটওয়াল শপিং সেন্টারের পক্ষে গ্রেটওয়াল ফাউন্ডেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও পরিচালকের পক্ষ এবং এ মামলার আসামি গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু দ্বিতীয় পক্ষ-ভাড়াটিয়া পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে গ্রেটওয়াল শপিং সেন্টারের চতুর্থ তলার ১৬টি দোকানঘর ৫০ লাখ টাকায় গ্রহণ করেন।

তদন্তকালে আসামির মালিকানাধীন দোকানসমূহের পজিশন মূল্য বাবদ পরিশোধিত ৫০ লাখ টাকার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস সংক্রান্ত তথ্যাদি আসামি সরবরাহ করতে পারেননি বিধায় এ সম্পদ তার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। তদন্তকালে গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামি গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু তার পজিশনে থাকা দোকানসমূহের পজিশন অন্যত্র হস্তান্তর বা বিক্রয়ের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া তার মালিকানাধীন অন্যান্য জমি ও বাড়ি অন্যত্র হস্তান্তর বা বিক্রয়ের চেষ্টা করছেন। এজন্য মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সম্পত্তি ক্রোক আদেশ দেওয়া প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলার আসামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর নামে থাকা ছয়তলা ভবন, দোকানঘর ও জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ক্রোক আদেশ হওয়া এসব স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে সদরঘাটের গ্রেটওয়াল শপিংমলে থাকা ১৬টি দোকানঘর, যাত্রাবাড়ীতে ছয়তলা ভবন এবং একই এলাকায় সাড়ে সাত শতক জমি রয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক খোকন চন্দ্র মোহন্ত এসব সম্পদ ক্রোক আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত