ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বেরাইদে সাত কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ পর্যায়ে

জানালেন ডিএনসিসি প্রশাসক
বেরাইদে সাত কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ পর্যায়ে

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেরাইদ এলাকায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে, আরও ১৯ কিলোমিটার রাস্তার কাজ দ্রুতই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। গতকাল শুক্রবার ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের (বেরাইদ ও আশেপাশে এলাকা) চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘ডিএনসিসির নতুন ও পুরাতন এলাকাগুলোর মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য রয়েছে। পুরোনো এলাকার রাস্তা ও ড্রেনসহ অন্যান্য উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু সেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে মাঠ, পার্ক ও ফুটপাত এসব দখল। আমরা এগুলো দখলমুক্ত করতে কাজ করছি। আর ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত এগুলো নির্মাণ করতে হবে। নতুন ওয়ার্ডগুলোকে পরিকল্পনা করে সাজানো হবে। কোন ইনজাস্টিস হবে না নতুন ওয়ার্ডগুলোতে। নতুন আরবানাইজেসন করা হবে কিন্তু পরিকল্পিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘একসময় এগুলো ইউনিয়ন ছিল। অনেক জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়ে গেছে। এসব বাড়িঘর ভেঙে প্রশস্থ রাস্তা নির্মাণ করা বেশ সময়সাপেক্ষ। এসব আমরা করবো কিন্তু সময় লাগবে। বিশেষ করে দক্ষিণখান-উত্তরখানের মানুষ ধৈর্যহারা হয়ে গেছেন। তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা নাই, জলাবদ্ধতা সমস্যা। আমি তাদের সাথে বসেছি। সমস্যাগুলো সমাধানে পরিকল্পনা করে কাজ করছি।’ মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘বেরাইদ ও আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে দেখতে এসেছি। এই এলাকায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই এই এলাকা যেন দক্ষিণখান-উত্তরখানের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ণ না হয়ে যায়। এই এলাকার রাস্তা নির্মাণের অনেক আবেদন পেয়েছি। তাই আমি নিজে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছি, আবেদন অনুযায়ী রাস্তাগুলোর যৌক্তিকতা আছে কিনা সেটি দেখছি। জনগণের জন্য লাভবান হলেই রাস্তা নির্মাণ করা হবে, অন্যথায় হবে না।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বেরাইদ ও আশেপাশের এলাকায় চলমান কাজে কয়েকটি জায়গায় ত্রুটি পেয়েছি। ঠিকাদারকে এরই মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ খরচে মেরামত করার জন্য। ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজ না করলে আমরা ব্যবস্থা নিব, প্রয়োজনে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।’ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীকে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়েছি মশার ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হয় না। তাই যারা এই কাজটি করতো তাদের সঙ্গে চুক্তি আর নবায়ন করা হয়নি। মশার ওষুধ ঠিকমতো ছিটানো হচ্ছে কিনা সেটি তদারকিতে আমরা সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ডেডিকেটেড ডেঙ্গু ইউনিট করার বিষয়ে আমরা আহ্বান জানিয়েছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত