এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নসহ মিশ্রীপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রত্নপুর ইউনিয়ন বিএনপির ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম (ইসমাইল) সমর্থকদের ধাওয়া করেন ৮নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দপ্তর সম্পাদক জালাল সরদারের সমর্থকরা।
এ সময় মনিরুল ইসলামের (ইসমাইল) সমর্থকরা হামলার ভয়ে রত্নপুর ইউনিয়নে মিশ্রীপাড়া বাজারে রেজাউল হাওলাদারের ওয়ার্কশপে আশ্রয় নেন। জালাল সরদারের সমর্থকরা ওই ওয়ার্কশপে হামলা-ভাঙচুর করে টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে-পিটিয়ে মিঠু হাওলাদার (৩৮), হিরু হাওলাদার (২৪), শওকত হাওলাদার (৩৫), জুয়েল হাওলাদারকে (৩০) গুরুতর আহত করে। প্রতিপক্ষ জালাল সরদারের সমর্থক জুয়েল সরদার (২৩), সোহান সরদার (২১), মামুন ফকির (২০) ও তুষার সরদার (২২) আহত হন। এদের মধ্যে মিঠু হাওলাদার, হিরু হাওলাদার, শওকত হাওলাদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে ছুরিসহ শাকিব চৌকিদার নামে এক কিশোরকে আটক করে এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন। উভয়পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ৮নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক জালাল সরদার বলেন, মিশ্রীপাড়া বাজারের ইজারার টাকা উত্তোলন করতে হলে মনিরুল ইসলামকে (ইসমাইল) চাঁদা দিতে হবে। তা না দিলে ইজারার টাকা উত্তোলন করা যাবে না। এ নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে। রত্নপুর ইউনিয়ন বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম (ইসমাইল) চাঁদা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে জালাল সরদার মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আসছে। সে নিজেই লোকজন নিয়ে আমার ভাই ও সমর্থকদের হাতুড়ি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য এসআই সৌমেনকে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করার পর কেউ যদি বেশি গুরুতর আহত হয়, তার পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে মামলা নেওয়া হবে।