ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কোরবানির ঈদে কোনো পশু আমদানি করা হবে না

জানালেন মৎস্য উপদেষ্টা
কোরবানির ঈদে কোনো পশু আমদানি করা হবে না

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদিপশু থাকায় চলতি বছরে কোরবানি ঈদের জন্য পশু আমদানি করা হবে না। অবৈধ পথে কোনোভাবেই গবাদিপশু প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গবাদিপশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। গতকাল রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহন নিশ্চিতকল্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কোরবানির পশু সরবরাহের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, চলতি বছর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনে করে পশু সরবরাহ করা হবে।

রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৯টি পশুরহাটে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ২০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম ও দুইটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের একটি অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য গবাদিপশু কোরবানি। কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সারা দেশে পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং কোরবানির পশুর অবাধ পরিবহন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়া নীরোগ ও স্বাস্থ্যবান পশু ক্রয়-বিক্রয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশু কোরবানি করা প্রয়োজন।

কোরবানি উপলক্ষে সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, সকলের জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত ও মানসম্মত প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগে প্রাণী স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, প্রাণীর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরুপণ করেছে। এ বছরে কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্টকৃত গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ দুই হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্যান্য প্রজাতিসহ সর্বমোট ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এবছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে আশা করছি। কোরবানির ঈদে বাজার যেন কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, এজন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির কারণে পশুর দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছি, যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যাবে। সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত