নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, পাসপোর্ট হচ্ছে একজন নাগরিকের জাতিয়তা ও নাগরিকত্ব পরিচয়ের অন্যতম ডকুমেণ্ট। রোহিঙ্গা কিংবা নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা নয় এমন কোনো লোক এ অফিস থেকে পাসপোর্ট করলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা চাই এ পাসপোর্ট অফিসটি হবে পুরোপুরি দালালমুক্ত। যদি দালালদের আনাগোনা পরিলক্ষিত হয় তাহলে তাৎক্ষণিক মোবাইল টিম পাঠিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। দীর্ঘ ৯ মাস পর গতকাল বেলা ১১টায় পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। কোনো সেবা গ্রহীতা যেন প্রতিবন্ধকতার শিকার না হয় সে দিকটি বিবেচনায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহব্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি শিল্পঘন এলাকা। এ জেলার যারা শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছে প্রতিনিয়তই তাদের দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে হয়। পাসপোর্ট তাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। দীর্ঘ ৯ মাস এ অফিসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সে লক্ষ্যে অফিসের কার্যক্রম নতুনভাবে চালু হয়েছে। আমি আশা করি এখন জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাগব হবে। পাসপোর্ট প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন না হয়।
নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. জামাল হোসেন বলেন, আজ থেকে পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়েছে। এখন থেকে পাসপোর্টের সব কার্যক্রম ও সরবরাহ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার আগে গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন কার্যক্রম চালু করা হয়।