ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া প্রত্যেকের কর্তব্য

বললেন ভূমি উপদেষ্টা
ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া প্রত্যেকের কর্তব্য

ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া প্রত্যেক জমির মালিকের কর্তব্য। ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া বাই চয়েস নয়, এটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। আমাদের বুঝতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অন্যতম আয়ের উৎস হচ্ছে কর। ভূমি উন্নয়ন কর বাংলাদেশ রাজস্ব খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই কর সময়মতো নির্ধারণ ও আদায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সুশাসনের জন্য অপরিহার্য। গতকাল রাজধানীর ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘সংস্থার কর আদায় সংক্রান্ত কর্মশালা’র আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় ১৬টি মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-এর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) এ জে এম সালাউদ্দিন নাগরি।

ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া আগের মতো এখন আর বিড়ম্বনা নেই। যে কেউ যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনে এই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারছে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া, সেই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব। ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা হল জমি ব্যবহারের বিপরীতে সরকারের নিকট বাৎসরিক প্রদেয় কর। ২৫ বিঘার ঊর্ধ্বে কোনো কৃষিজমি কিংবা যেকোনো পরিমাণ অকৃষি জমি (আবাসিক বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত) জমির জন্য এর মালিককে সরকারের কাছে নির্ধারিত হারে প্রতি বছর এই কর প্রদান করতে হয়। অন্যান্য করের মতো এটিও একটি কর এবং জমির মালিকের কাছে হতে সরকারের একটি বার্ষিক পাওনা। ভূমি উন্নয়ন কর নিয়মিত আদায় করলে যে খাজনার রশিদ (প্রচলিত শব্দে যাকে দাখিলাও বলা হয়) দেওয়া হয় তা মালিকানারও একটি প্রমাণ এবং আদালতে গ্রহণযোগ্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত