বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ সেবা প্রত্যাশার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই এমন ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি কল পেয়েছে। যা ব্ল্যাংক কল, প্র্যাঙ্ক কল এবং মিসড কল। দেশের নাগরিকদের জরুরি মুহূর্তে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়ে যাওয়া-৯৯৯ এ আসা মোট কলের যা ৫৬.২৭ শতাংশ।
যদিও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১-এর ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে এই আইনে অভিযোগ আনেনি। পুলিশ টেলিকমের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (টেলিকম) মহিউল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত ‘জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯’ সর্বমোট ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন কলারকে। যা মোট কলের ৪৩.৭৩ শতাংশ।
অপরদিকে ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি কলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো ব্ল্যাংক কল, প্র্যাঙ্ক কল এবং মিসড কল যা মোট কলের ৫৬.২৭ শতাংশ। তিনি বলেন, এই বিপুল সংখ্যক অপ্রয়োজনীয় ফোন-কল কল-ওয়েটিং টাইম বাড়িয়ে দেয়, সত্যিকার বিপদগ্রস্ত জরুরি সেবা প্রার্থী কলারকে ৯৯৯-এর সেবাপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটায় এবং ৯৯৯-এর কলগ্রহীতাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অপ্রয়োজনীয় কলগুলো ৯৯৯-এর দ্রুত সেবাপ্রাপ্তি ব্যাহত করছে।