ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কাঁকড়া মোটাতাজাকরণের জন্য পোনা অবমুক্ত করল ডিএফইডি

কাঁকড়া মোটাতাজাকরণের জন্য পোনা অবমুক্ত করল ডিএফইডি

জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জন্য উপযুক্ত আবাসন এবং জীবিকায়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-এর আর্থিক সহায়তায় পিকেএসএফ-এর Resilient Homestead and Livelihood Support to the Vulnerable Coastal People of Bangladesh (RHL) প্রকল্পটি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি) বরগুনা জেলার সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন- নলটোনা, এম বালিয়াতলী, বুড়িরচর, ঢলুয়া, আইলা পাতাকাটা, বদরখালী, ফুলঝুড়ি ও কেওড়াবুনিয়ায় গত ২৭ মার্চ থেকে বাস্তবায়ন করছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাণিজ প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের জন্য ৫৮ জন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাঁকড়া চাষিদের মধ্যে ১০০-১২০ গ্রাম ওজনের প্রতি ১০ শতকের পুকুর/ডাইসে প্রতি জনকে ৩০ কেজি ক্রাবলেট/পোনা বিতরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে গত ২৪ মে বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের তিন জন কাঁকড়া চাষির মধ্যে কাঁকড়ার পোনা/ক্রাবলেট বিতরণ/অবমুক্তকরণের মাধ্যমে কাঁকড়া মোটাতাজাকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

কাঁকড়ার পোনা বিতরণ/পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন কৃষিবিদ মো. নিয়ামুল কবীর (কোঅর্ডিনেটর (কৃষি) ও ফোকাল পার্সন, আরএইচএল প্রকল্প, ডিএফইডি)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আমিনুল হক (প্রকল্প সমন্বয়কারী, আরএইচএল প্রকল্প, ডিএফইডি, বরগুনা)। আরও উপস্থিত ছিলেন আরএইচএল প্রকল্পের কমিউনিটি মোবিলাইজেশন অফিসার (ফিসারিজ) এবং এলাকার উপকারভোগী।

প্রধান অতিথি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় বিশাল অঞ্চলে কৃষি পণ্যের উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এতে স্থানীয় লোকজনের অনেকে আরও গরিব হচ্ছে। কাঁকড়ার চাষ এসব গরিব মানুষের বিকল্প আয়ের উৎস হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ দেশে খাবার হিসেবে কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা না থাকলেও বিশ্বের অনেক দেশে এটি সুস্বাদু খাবার হিসেবে সমাদৃত। কাঁকড়া রপ্তানি করে আসছে মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। কাঁকড়া চাষের সুবিধা হচ্ছে- এতে পরিশ্রম তেমন নেই, উৎপাদনব্যয়ও তুলনামূলক কম। আর কাঁকড়ার বংশবৃদ্ধিও ঘটে দ্রুত। বতর্মানে কেবল দক্ষিণাঞ্চল থেকেই কাঁকড়া রপ্তানির মাধ্যমে বছরে ৫০ থেকে ৭০ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। সারা দেশ থেকে এ রপ্তানি-আয়ের পরিমাণ বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ থেকে এই মুহূর্তে বিদেশে রপ্তানি করা মৎস্য সম্পদের মধ্যে চিংড়ির পরই সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় পণ্য হচ্ছে কাঁকড়া। এ পরিপ্রেক্ষিতে কাঁকড়ার উন্নত চাষ প্রযুক্তি সুদীর্ঘ ৭১১ কিলোমিটার উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যবহার করে বদলে দিতে পারে লাখো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষের ভাগ্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত