ঢাকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ডিএনসিসির বাজেট বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপের আশ্বাস

তামাক নিয়ন্ত্রণ
ডিএনসিসির বাজেট বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপের আশ্বাস

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় ও শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রতি অর্থবছরের বরাদ্দকৃত বাজেট বার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। গতকাল ডিএনসিসি’র সভা কক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনে ও ডিএনসিসি’র যৌথ আয়োজনে ‘তামাক ও ধূমপানমুক্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন গঠনে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসি’র উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদা পলি, ডা. ফিরোজ আলম, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদসহ ডিএনসিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় সভার উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি ডা. মোহাম্মদ খলিলউল্লাহ।

সভায় মূল প্রবন্ধে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম জানান, গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭-এর তথ্যমতে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে ও ১ কোটি ৯২ লাখ মানুষ ধূমপান করে এবং প্রায় ৪ কোটি মানুষ ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। গ্যাটস ২০১৭ তথ্যমতে পরোক্ষ ধূমপানের এ হার ৪২.৭ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আইন সম্পর্কে সচেতনতা কম, তামাকজাত প্যণ্যের ব্যাপক প্রচারণা, তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং সর্বোপরি আইনের সঠিক ও যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়া এবং তামাক কোম্পানির কূটকৌশল ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, কর্মক্ষেত্রে যত্রতত্র ধূমপানের চিত্র দেখতে পাওয়া যায়, ফলে ধূমপান না করেও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সবাইকে রক্ষা করতে কর্মক্ষেত্রকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ডিএনসিসি’র আওতাধীন বাসস্ট্যান্ড, রেস্টুরেন্টসহ পাবলিক প্লেসগুলোতে ধূমপান বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ রাখা এবং সেই বরাদ্দকৃত বাজেট ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে ধূমপানমুক্ত নিশ্চিত করতে হবে। এবং সামাজিক মাধ্যমে তামাকের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে তরুণদের এ কাজে এগিয়ে আশার আহ্বান জানানো হয়। সূত্র : সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত