জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। গতকাল রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বিভিন্ন মহলে বলাবলি হচ্ছে, একটি দল নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়া করছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি বলতে চান, মানুষের ভোগান্তি লাঘবে বিএনপি দ্রুত সময়ে নির্বাচন চায়। গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন চাওয়া কোনো অপরাধ নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ কথাগুলো বলেন। রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে গত রোববার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত চারজন উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বিষ পান করেন। পরে তাঁদের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের চিকিৎসাসহ সার্বিক খোঁজখবর নিতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রতিটি রাজনৈতিক দল দ্রুত সময়ে নির্বাচনের কথা বলছে বলে উল্লেখ করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামের সংগঠনের উপদেষ্টা শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন চাওয়া দোষের কিছু নয়। নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসনে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেনি। আমরা দেখেছি, তাঁরা (আহত ব্যক্তিরা) অবহেলার শিকার হয়েছে। রোগীরা অবহেলার কথা আমাদের জানিয়েছেন। শেখ হাসিনার আমলে যাঁরা গুম-খুন-নির্যাতনের হয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদেরও অন্তর্বর্তী সরকার অবহেলা করছে বলে অভিযোগ করেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচিত সরকার থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান আহত ব্যক্তিরা, যাঁরা হাত-পা-চোখ হারিয়েছেন, যাঁরা গুমের শিকার হয়েছিলেন, তাঁরা অবহেলিত থাকতেন না। তিনি এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ‘আমার বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে বিষ পান করা চারজনের চিকিৎসা সহায়তাসহ আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে তাঁদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, সরকারের উচিত ছিল, আহত ব্যক্তিদের সঠিক তদারকি করা, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা। তাহলে আহত এই ব্যক্তিরা বিষপানের মতো কাজ করতেন না।