ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শহরে নিম্নআয়ের ৬৯ শতাংশ মানুষ টয়লেট ব্যবহার করছে

শহরে নিম্নআয়ের ৬৯ শতাংশ মানুষ টয়লেট ব্যবহার করছে

গত পাঁচ বছরে শহরাঞ্চলের সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকায় নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহারের হার ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। পাশাপাশি নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং মাতৃ স্বাস্থ্যসেবাসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। এ সময়কালে এসব এলাকায় নিরাপদ পানি ব্যবহার ৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নারীদের মধ্যে স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারের হার ৫৩ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০ শতাংশ এবং অন্তত চারবার প্রসবপূর্ব সেবা গ্রহণের হার ৪৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ শতাংশে।

প্রসব-পরবর্তী সেবা নেওয়ার হার ২১ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ৯৪ শতাংশ পরিবার বর্তমানে তাদের খাবার পানি ঢেকে রাখে এবং এই এলাকাগুলোতে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৫ শতাংশ। ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। যেখানে ব্র্যাকের পাঁচ বছর মেয়াদি ‘স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেবার জন্য সমন্বিত পুনর্বাসন কর্মসূচি’-এর তথ্য-উপাত্ত এবং নীতিগত সুপারিশগুলো উপস্থাপন করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এবং সৈয়দপুর পৌরসভায় অবস্থিত নিম্নআয়ের নগর বসতিগুলোতে বাস্তবায়িত এই কর্মসূচিটি অর্থায়ন করে কিং আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ প্রোগ্রাম এবং ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি)। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পারস্পরিক অংশিদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও ওয়াশ এমন একটি খাত যেখানে ১ ডলার বিনিয়োগে ৪.৩ ডলার ফেরত পাওয়া সম্ভব। তিনি প্রকল্পটিতে বৈচিত্র্য আনা বা ভিন্ন কোনো দিক তুলে ধরার প্রস্তাব দেন যা সিটি করপোরেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুফল বয়ে আনবে এবং তা নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়নেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সমাপনী বক্তব্যে ব্র্যাকের জলবায়ু পরিবর্তন কর্মসূচি, নগর উন্নয়ন কর্মসূচি ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. লিয়াকত আলী বলেন, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল সাশ্রয়ী মূল্যে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। তবে এতে মাতৃসেবা, প্রসবপূর্ব ও পরবর্তী সেবা, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি, স্যানিটেশন এবং আচরণগত পরিবর্তনের মতো খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। এই অর্জনগুলো ভবিষ্যতের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ এবং চলমান কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. আরিফ শহীদ স্বাস্থ্যখাতকে অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে রেখে কমিউনিটির অংশগ্রহণসহ যৌথ অর্থায়নের কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আগামীতেও এমন আরও উদ্যোগ নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন। ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ডা. শায়লা ইসলাম প্রসব-পরবর্তী সেবা ও যক্ষ্মা রোগ ব্যবস্থাপনায় অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত