শিক্ষার্থীদের হতাশা ও মানসিক চাপ মোকাবিলায় দেশে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে গ্রহণ করা হয়েছে ‘সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০ হাজার শিক্ষার্থী মানসিক সহায়তা পাচ্ছেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণে ‘র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ নামে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) এর সঠিকতা যাচাইয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার প্রধান অতিথি ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই আন্দোলনের অভিঘাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক হতাশা তৈরি হয়েছে, যা তাদের শিক্ষা ও সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণে আমরা সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করেছি।
তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় মানসিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মাছুমা হাবিব। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্র গঠনের গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিক্ষার্থীদের আচরণগত উন্নয়ন এবং পারিপার্শ্বিক চাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আলোচক হিসেবে কর্মশালায় অংশ নেন আইইউবিএটির প্রফেসর মো. মাহমুদুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্স বিভাগের প্রফেসর ড. শাফিউন নাহিন শিমুল ‘র্যাপিড নিডস অ্যাসেসমেন্ট’ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।