
গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)। পাশাপাশি ঘটনাস্থলের সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে এমএসএফ। এতে পূর্বশত্রুতার জেরে ও পেশাগত দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এমএসএফ বলেছে, এভাবে একজন সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, বরং সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। সংবাদ সূত্রের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ আগস্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পাঁচ–ছয়জন দুর্বৃত্ত দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় তিনি দৌড়ে ঈদগাহ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা তাঁকে দোকানের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তাঁর মৃত্যু হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। একজন সাংবাদিককে এভাবে হত্যা করা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি অশনিসংকেত বলে মনে করে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামালের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বক্তব্যে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ব্যক্ত করা হয়ে থাকে। সরকার দেশের সব নাগরিকের মতো সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্ত করা, ভয় দেখানো এবং চিরতরে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার একটি ভয়ংকর অপতৎপরতার উদাহরণ হচ্ছে এই ঘটনা। সাংবাদিকদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রতিটি সরকারের অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হওয়া বলে মনে করে এমএসএফ।