
সব বৈষম্য দূরীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটক অবরোধ করে এ কর্মসূচি করেন তারা এবং দুই ঘণ্টা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেন।
এসময় পোষ্যকোটা পুনর্বহাল, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোয়ার্টার সংস্কারসহ প্রাতিষ্ঠানিক সব সুবিধা বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা। রাবি অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আমাদেরকে জিম্মির মুখে রেখে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা পোষ্যকোটাসহ প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পাচ্ছে, শুধু বঞ্চিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একটি নির্দিষ্ট সময় দিব, সেই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, আজকে ক্লাস রুমে থাকার কথা, কিন্তু আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আজকে এখানে দাঁড়াতে হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা আমাদের অধিকার। সেই অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে নিয়ে আমাদের এ আন্দোলন। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল থাকলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল করা হয়েছে। এই সুবিধা কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি এবং এটি বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা অনড় থাকব। প্রয়োজন হলে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা আমরা ফিরিয়ে আনবো। অবস্থান কর্মসূচিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।