
২০১৭ সালে সরকারি কাজে বাধা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় দণ্ডিত জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালত এই আদেশ দেন। শহিদুল ইসলাম বাবুলের পক্ষের আইনজীবী সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া (জাদু) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এরআগে, গত ১৮ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ওইদিন শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর শহিদুল ইসলাম বাবুলকে এক ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাতদিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাতদিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফর শেষে গুলশান যাবেন। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় সরকার বিরোধী স্লোগান দেন। ভিআইপি রোড বন্ধ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ওইদিনই মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার এসআই আতাউর রহমান। মামলার সব কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর রায় দেন আদালত। ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুলকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার সংসদীয় আসনের (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) বিএনপিসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া সাধারণ মানুষও এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।