
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এসময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন। গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের বহির্বিভাগে এ কর্মবিরতি চলে। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক্স-রে ও সিটি স্ক্যান সেবা স্বল্প পরিসরে চললেও বহির্বিভাগের রেডিওলজি বিভাগ বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ রাখা হয় রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়া ঔষধ সরবরাহ ভবনের গেট (মেডিসিন স্টোর)। সেখানেই ছিল রোগীদের সবচেয়ে বেশি ভিড়। বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খাজা মঈন উদ্দিন মঞ্জু বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ে বারবার উত্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়- নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন, সংগ্রাম, দাপ্তরিক চিঠি চালাচালি, জনপ্রশাসন বিধি শাখার সমস্ত চাহিদা পূরণ করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নানাবিধ উদ্দেশে মন্ত্রণালয় সময়ক্ষেপণ ও জটিলতা তৈরি করছে। বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সিকদার মো. জসিম বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা দেশের সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জাতীয় সংসদ সচিবালয় মেডিকেল সেন্টার, সচিবালয় ক্লিনিক, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় মেডিকেল সেন্টার, বঙ্গভবন মেডিকেল সেন্টার, স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশেষায়িত ইনস্টিটিউটে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা দীর্ঘদিন যাবত চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যান্য ডিপ্লোমা কোর্সধারীর মধ্যে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা ইতোমধ্যে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছেন।