আসন্ন গ্রীষ্ম ও চলতি রমজান মাসে বিদ্যুতের চাহিদা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি থাকে। তাই বিদ্যুতের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নানা কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রমজান মাসে অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো এবং লোডশেডিং না দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ৪ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর সার্কিট হাউস জামে মসজিদের সামনে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, রমজানে ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা আশা করছি রমজান মাসে ইনশাআল্লাহ কোনো লোডশেডিং হবে না। আমাদের যে গ্যাস ছিল সেই গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে। আমরা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করছি। বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের রোজা কিছুটা গরমের মধ্যে পড়ছে। এ সময় আমাদের সেচের জন্য অনেক বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়।
বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট। সেচ ও গরমের কারণে এই বিদুতের চাহিদা গরমে ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট হয়ে যায়। এর মধ্যে দুই হাজার মেগাওয়াট লাগে আমাদের সেচ কাজে। কিন্তু সেচ বন্ধ করা যাবে না। সেচ বন্ধ হলে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে অপচয় রোধ ও মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শপিংমলের যেন অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা হয়।
জুয়েলারি শপেও যেন অতিরিক্ত আলোকসজ্জা না করা হয়। এজন্য আমি এবং আমার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের সহকর্মীরা সবার কাছে যাচ্ছি। জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত আলোকসজ্জার জন্য ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগে। এজন্য আমরা ইমাম সাহেব এবং মুসল্লিদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি রাখার জন্য। এই ২৫ ডিগ্রি বেশ ভালো তাপমাত্রা। এ তাপমাত্রায় মানুষ খুব আরামে ইবাদত করতে পারবে। শুধু আমাদের দেশে না, মালয়েশিয়াতেও বলা হয়েছে এসির তাপমাত্রা যেন ২৫ ডিগ্রিতে থাকে। এসময় রমজানে মুসল্লিদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।