বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) যৌথ আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (আইসিসিবি) শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে তিন দিন। আয়োজকরা বলছে, এবারের আয়োজনে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক জুতা তৈরির যন্ত্রপাতি, জুতা, ব্যাগ, স্পোর্টসওয়্যার, লেজার কাটিং যন্ত্রপাতি, চামড়াজাত পণ্য ও তৈরির যন্ত্রপাতি, এসব পণ্য বুনন ও প্রস্তুতকারী যন্ত্রপাতি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে উৎপাদন লাইন, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা তৈরির বিভিন্ন ধরনের উপকরণ, চামড়া, সিন্থেটিক বা কৃত্রিম চামড়া, চামড়াজাত পণ্য তৈরির রাসায়নিক উপকরণ ইতাদি পণ্যের পসরা বসেছে। বিটিএ জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ২২০টির বেশি ট্যানারি রয়েছে, যেখানে আড়াই হাজারের বেশি জুতা উৎপাদনের ইউনিট রয়েছে। এছাড়া ৯০টির বেশি বৃহৎ কারখানা রয়েছে, যারা চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন ও এ খাতের সঙ্গে যুক্ত। আয়োজকদের ভাষ্য, এবারের মেলায় দেশি-বিদেশি ২৫০টির মতো কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে। দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নেটয়ার্কিং বাড়ানোই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। মেলায় ‘কোলাজেন বাংলাদেশ’ এর স্টলে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা মোরসালিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা মূলত চামড়া প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। সাভারের হেমায়েতপুরে আমাদের কারখানা রয়েছে। আমরা মূলত কাঁচা থেকে ফিনিশড লেদার তৈরি করি। সেগুলো থেকে পরে জুতা, ব্যাগ, ওয়ালেট, বেল্ট ইতাদি তৈরি হয়।” মেলায় এসেছিলেন আরেক উদ্যোক্তা ফাহাদুল ইসলাম। আশুলিয়ায় তার একটি কারখানা রয়েছে। তিনি বলেন, “আমি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চামড়া কিনে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিভিন্ন পণ্য প্রস্তুত করে রপ্তানি করি। এখানে অনেক প্রতিষ্ঠান এসেছে একসঙ্গে; তাই দেখতে এলাম। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথাও হয়েছে।” মেলায় আসা দর্শনার্থী বেসরকারি চাকরিজীবি রাজিব আহসান বলেন, “মেলায় ঘুরতে এলাম; দেখতে এলাম। আমি এ খাতেই কাজ করি। তাই প্রতিবছরের মতো এবারও দেখতে এলাম। বিদেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথাও বললাম।” বিটিএ’র সঙ্গে এবারের মেলার যৌথ আয়োজক হিসেবে রয়েছে লেদার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টস সোসাইটি, লিমরা ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড এক্সবিশনস।