ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে স্কপের লালপতাকা মিছিল

লালদিয়া চুক্তি বাতিলের দাবি
চট্টগ্রাম বন্দর অভিমুখে স্কপের লালপতাকা মিছিল

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-এনসিটি পরিাচলনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ এবং লালদিয়ার চর টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনায় করা চুক্তি বাতিলের দাবিতে বন্দর অভিমুখে লাল পতাকা মিছিল করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় নগরীর দেওয়ানহাট মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। চট্টগ্রামের লালদিয়ার চরে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে গেল ১৭ নভেম্বর ডেনমার্কের এপিএম টার্মনালসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় টার্মিনাল নির্মাণের পর সেটি পরিচালনা করবে এপিএম। চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর। এ সময়ে সব বাণিজ্যিক, সামাজিক ও পরিবেশগত শর্ত মেনে চললে মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে। এছাড়া এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার চুক্তি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা বলেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। এছাড়া কয়েকটি বামপন্থি রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ এ ধরনের চুক্তির বিরোধিতা করছেন। লাল পতাকা মিছিলের আগে আয়োজিত সমাবেশে স্কপভুক্ত সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত বলেন, স্কপ ধারাবাহিকভাবে স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ, গণঅনশন, অবরোধ ও মশাল মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে এবং এতে জনগণের সমর্থন ক্রমেই বাড়ছে।

‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্তে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ন্যূনতম অধিকার নেই। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপি- এবং কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নৈতিক বা আইনগত ভিত্তি নেই। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ‘ইজারা’ দিলে তা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। নসভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নৌ পরিহবন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা দৈনিক আড়াই কোটি টাকা ‘ঘুষ বাণিজ্য’ হয় বলে অভিযোগ করেছেন। গত দেড় বছর আপনারা ক্ষমতায় ছিলেন, এই সময় কীভাবে ঘুষ-দুর্নীতি হয় তার জবাব জনগণকে দিতে হবে। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এসকে খোদা তোতন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল উদ্দিন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদুল আলম, বিএফটিইউসি চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সম্পাদক ইজওয়ানুর রহমান খান, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের হেলাল উদ্দিন কবির। সমাবেশের পর নগরীর দেওয়ানহাট থেকে লাল পতাকা মিছিল শুরু হয়ে বাদামতলী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত