আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের খোঁজখবর রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বান্দাদের আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সতর্ক থাকো রক্তসম্পর্কিত আত্মীয়দের ব্যাপারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের পর্যবেক্ষক।’ (সুরা নিসা : ১)।
আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-ও তাঁর উম্মতদের এ ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখে।’ (বোখারি : ৬১৩৮)।
যারা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে না, মহান আল্লাহ তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জ্ঞাতিবন্ধন আরশে ঝুলন্ত আছে এবং সে বলছে, যে আমাকে অবিচ্ছিন্ন রাখবে, আল্লাহ তার সম্পর্ক তাঁর সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন রাখবেন। আর যে আমাকে বিচ্ছিন্ন করবে, আল্লাহ তার সম্পর্ক তার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করবেন।’ (রিয়াদুস সালেহিন : ৩২৮)।
তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, তাদের খোঁজখবর নেওয়া, সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করা। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ যাদের সঙ্গে সুব্যবহার করতে বলেছেন, তাদের মধ্যে মা-বাবার পরই নিকটাত্মীয়দের কথা উল্লেখ করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ইবাদাত করো আল্লাহর, তাঁর সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক কোরো না। আর সদ্ব্যবহার করো বাবা-মায়ের সঙ্গে, নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে, এতিম, মিসকিন, নিকট প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথি, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদের যারা দাম্ভিক, অহংকারী।’ (সুরা নিসা : ৩৬)।
আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কের পুরস্কার মহান আল্লাহ দুনিয়াতেও দেন। তা হলো রিজিকের প্রশস্ততা। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার জীবিকা বৃদ্ধি হোক অথবা তাঁর মৃত্যুর পরে সুনাম থাকুক, তবে সে যেন আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করে।’ (বোখারি : ২০৬৭)।