ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অজু করার সাত ফজিলত

জুবায়ের রহমান
অজু করার সাত ফজিলত

অনেকের কাছে অজু মানে নামাজের আগে তাড়াহুড়ো করে হাত-মুখ ও মাথা ধুয়ে নেওয়া। অথচ অজু শুরু পরিচ্ছন্নতার মাধ্যম নয়, বরং দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জনের মাধ্যম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও, তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ করো এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও। (সুরা মায়েদা : ৬)।

অজুর করার ৭টি ফজিলত তুলে ধরা হলো-

১. গোনাহ মাফের উপায় : পাপ আমাদের মনকে ভারী করে ফেলে, ইবাদতের আনন্দ কেড়ে নেয়। অজু হলো এক বিশেষ মাধ্যম, যার মাধ্যমে আল্লাহ গোনাহ মাফ করেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘অজুর সময় চোখ, হাত আর পায়ের সঙ্গে করা পাপ পানির ফোঁটার সঙ্গে ধুয়ে যায়। কাজেই অজু প্রতিটি ধাপ মনোযোগ দিয়ে করুন, যেন কোনো অংশ শুকনো না থাকে।

২. শান্তির ঘুম : অজু করে ঘুমালে ফেরেশতা সারারাত আল্লাহর কাছে আপনার জন্য ক্ষমা চাইতে থাকেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পবিত্র হয়ে ঘুমায়, তার পাশে ফেরেশতা থাকে এবং দোয়া করে, ‘হে আল্লাহ, এ বান্দাকে মাফ করে দিন। তাই ঘুমের আগে অজু করে নিন, দেখবেন প্রশান্তির ঘুম হবে।

৩. রাগ নিয়ন্ত্রণ : রাগের মাথায় আমরা অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত নেই। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে, আর শয়তান আগুন থেকে তৈরি। আগুনকে নিভানো যায় শুধু পানি দিয়ে। তাই রাগ উঠলে অজু করো। কোনো কারণে রেগে গেলে অজু করে দেখুন, আপনার মানসিক অবস্থা বদলে যাবে।

৪. কেয়ামতের দিন উজ্জ্বলতা : কেয়ামতের দিন রাসুল (সা.) তাঁর উম্মতকে চিনবেন অজুর আলো দিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতকে অজুর চিহ্ন দ্বারা চিনে নেওয়া হবে। তাই প্রতিদিনি নিয়মিত, ভালোভাবে অজু করুন।

৫. জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধি : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে কষ্ট সত্ত্বেও ভালোভাবে অজু করে, জান্নাতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। শীতের দিন পানি ঠান্ডা হলেও আল্লাহর জন্য সহ্য করে কষ্ট করে অজু করুন।

৬. অতীতের গোনাহের মাফ : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার মতো অজু করে এবং মনোযোগ দিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে, তার অতীতের গোনাহ মাফ হয়ে যায়। অজুর পর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার অভ্যাস করুন।’

৭. অল্প পানিতে পবিত্র হওয়ার সুবিধা : অজু করার সময় আমরা অনেক সময় অযথাই অতিরিক্ত পানি খরচ করি। অথচ অজু করতে বেশি পানির প্রয়োজন হয় না। রাসুল (সা.) মাত্র এক ‘মুদ’ পানি (দুই হাত মিলিয়ে যতটুকু পানি ওঠে) দিয়ে অজু করতেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত