মঙ্গলবার সৌদি আরবের উত্তর-পশ্চিমের শহর আল-উলায় অনুষ্ঠিত হয় উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের (জিসিসি) ৪১তম বার্ষিক সম্মেলন। এতে অংশ নিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-সানিসহ ছয় আরব দেশের শীর্ষ নেতারা। এটি সৌদির অন্যতম সেরা বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির পর্যটন শহর। শহরটি মদিনা মুনাওয়ারা প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত। মদিনার কেন্দ্র থেকে উত্তরে এর দূরত্ব ৩০০ কি.মি.। বিশাল দুই পাহাড়ের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়বেষ্টিত কৃষিবান্ধব এই নগর।
আল-উলা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এখানে মানববসতির সূচনা প্রায় ৪ হাজার বছর আগে। হিজরি সপ্তম শতকে তাবুক যুদ্ধে যাওয়ার পথে মহানবী (সা.) এখানে পদার্পণ করেন। এখানে তিনি একটি স্থানে নামাজ আদায় করেন। সেখানে তিনি প্রাণীর পড়ে থাকা হাড় দিয়ে মসজিদের জন্য সীমানা নির্ধারণ করে দেন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা সেখানে একটি মসজিদ স্থাপন করে, যার নাম দেওয়া হয় মসজিদুল ইজাম। ইজাম অর্থ হাড়। মুসলিম বিজয়ী বীর মুসা বিন নুসাইর উলার মধ্যাঞ্চলের সর্বোচ্চ পাহাড়ে তার দুর্গ স্থাপন করেছিলেন। উসমানি খেলাফতের সময় এখানে হিজাজের রেল সড়ক ও স্টেশন স্থাপন করা হয়। আল-উলার মরুদ্যান এলাকার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। এখানে প্রচুর খেজুর, কমলা ও টক জাতীয় ফল ছাড়াও নানা কৃষিজ উৎপাদন হয়। এখানে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। জিসিসি সম্মেলন উপলক্ষে মদিনা সিটি করপোরেশন প্রকাশিত আল-উলার কিছু হালনাগাদ মনোলোভা চিত্র নিয়ে দেখুন ফটোফিচার।