১. ফজরের পরে না ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কাইলুলা (দুপুরের হালকা ঘুম) করা যাবে।
২. দিনে ম্যাক্সিমাম তিনবার খাবার অভ্যাস করুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে হাবিজাবি খাবার- যেমন ফাস্টফুড, স্ট্রিটফুড খাওয়া যাবে না। ক্ষুধা লাগলে খেজুর, আপেল এগুলো খাওয়া যায়।
৩. প্রতিবেলা খাবার সময় যেটুকু খাবার যথেষ্ট বলে মনে হবে তার থেকে একটু কম খাবেন।
৪. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করুন এই কথাটা আপনি না বললে কি কোনো লস আছে? বলা কি আবশ্যক? উত্তর না হলে; ওই কথা বলার দরকার নেই।
৫. সকাল-সন্ধ্যার জিকির-আজকার পাঠ করুন।
৬. ইশরাকের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন।
৭. প্রতিদিন নিয়মিত কোরআন পড়ার অভ্যাস করুন। হতে পারে ১ রুকু থেকে ১ পারা- যেকোনো পরিমাণ।
৮. ঘুমের পরিমাণ কমাতে হবে।
৯. ফজরের পরে কিছুক্ষণ ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। আর কিছু না পারলে ১৫-২০ মিনিট জগিং করে এসে গোসল করে ইশরাকের সালাত পড়ার অভ্যাস করা।
১০. দৃষ্টি অবনত রাখুন। না পারলে ওইসব জায়গা এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
১১. ফেইসবুক, ইউটিউব, টুইটার (সোশ্যাল মিডিয়া) কম ব্যবহার করা।
১২. প্রতিদিন হিফজের একটা টার্গেট নেওয়া। এটা প্রতিদিন এক আয়াতও হতে পারে। কিন্তু টার্গেট পুরা করতে হবে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১৩. বিশেষ করে রাতে ভরপেট খাওয়া পরিহার করতে হবে।
১৪. রাতে ঘুমানোর আগে অজু করে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে নিন এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকুন।
১৫. নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন।
ইনশাআল্লাহ, রাব্বে কারিম আপনার অন্তরকে প্রশান্ত করে দেবেন। মহান আল্লাহ তায়ালা লেখার প্রতিটি কথার ওপর আমাদের সবাইকে এবং সঙ্গে আমাকেও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন
হআল-আমীন বিন খুরশিদ