ব্যস্ত সূচির মাঝে হঠাৎই ফাঁকা সময় পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ভারতীয় ক্রিকেটে দলের আগামী মাসের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হওয়ায় এখন অন্য কোনো দলের বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করতে চায় বিসিবি। গতকাল বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ১৩ অগাস্ট বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না জানিয়েই, দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সমঝোতার ভিত্তিতে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে এই সফর।
নতুন সূচিতে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে ভারতের। তাদের এই সফর পিছিয়ে যাওয়ায় এখন অগাস্ট মাসে কোনো খেলা নেই বাংলাদেশের। এমনকি ঘরোয়া কোনো খেলাও নেই আগামী মাসে। প্রাথমিকভাবে ‘এ’ দল বা হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের সঙ্গে জাতীয় দলের খেলা আয়োজনের চিন্তা করেছিল বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। সেখান থেকে সরে এখন জাতীয় দলের সিরিজ আয়োজনের ভাবনার কথা বললেন নাজমুল। ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, (ভারত সিরিজের) সময়টায় অভ্যন্তরীণ কিছু ম্যাচ আয়োজন করতে পারি কি না। এর আগেও এরকম করেছি, ‘এ’ দলের সঙ্গে খেলেছিল জাতীয় দল। এটা ছিল আমাদের আগের পরিকল্পনা। এখন ভেবে দেখছি যে, এর পাশাপাশি কোনো দলের সঙ্গে খেলতে পারি কি না। অথবা বাইরে কোথাও গিয়ে অল্প সময়ের জন্য কিছু খেলা যায় কি না, কোনো সুযোগ পাওয়া যায় কি না। এগুলো আমরা দেখছি। যদি সুযোগ না হয়, তাহলে ইন্টারনালিই হয়তো খেলব।’
বাংলাদেশ দল আপাতত ব্যস্ত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে তারা। প্রায় এক মাসের সফর শেষে আজ দেশে ফিরেই পাকিস্তান সিরিজে ঢুকে যেতে হবে লিটন কুমার দাস, মুস্তাফিজুর রহমানদের। মিরপুরে আগামী রোববার শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
টানা খেলার মধ্যে থাকায় পাকিস্তান সিরিজে আলাদা প্রস্তুতির দরকার নেই বললেন নাজমুল। ‘আগামীকাল দেশে ফেরার পর এক দিন বিশ্রামে থাকবে। কেউ ঐচ্ছিক অনুশীলন করতে পারে। তবে ১৯ তারিখ ওদের অনুশীলন থাকবে, ২০ তারিখ খেলবে। যেহেতু খেলার মধ্যে আছে, তাই সেই মাত্রার প্রস্তুতির দরকার নেই। একটু হয়তো মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার থাকে। নতুন দল, কন্ডিশনটা আমাদের নিজেদের। গত এক মাস ধরে সেটা থেকে দূরে আছি আমরা। তাই ওইটার সঙ্গে একটু মানিয়ে নেওয়া।
আমার মনে হয়, পাকিস্তান সিরিজের জন্য প্রস্তুতি এতটুকুই থাকবে।’ অগাস্টে এখন পর্যন্ত কোনো খেলা না থাকায়, পাকিস্তান সিরিজ দিয়েই এশিয়া কাপের দল গোছানোর কাজ সেরে ফেলতে হবে বাংলাদেশের। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানের আশা, এশিয়া কাপ থেকে আগামী বছরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধারাবাহিক একটি দল তৈরি করতে পারবেন তারা।
‘আমার পক্ষে (পাকিস্তান সিরিজে পরীক্ষানিরীক্ষা) বলা সম্ভব না। কোচ, নির্বাচক, অধিনায়ক মিলে ঠিক করবে। এশিয়া কাপের আগে একটা পূর্ণাঙ্গ দল চাইব। সেখান থেকে খুব বেশি পরিবর্তন আমরা চাইব না। যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয়, সেটা ভিন্ন কথা। তবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত চাইব একটা ধারাবাহিকতা যেন থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরীক্ষানিরীক্ষার বিষয় যেন না আসে। কারণ একটু স্ট্যাবল হওয়ারও প্রয়োজন আছে। আশা করব, খুব বেশি পরীক্ষানিরীক্ষা হবে না।’
