ঢাকা সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তিন ম্যাচে নিষিদ্ধ সাগরিকা!

তিন ম্যাচে নিষিদ্ধ সাগরিকা!

অঘটন ঘটন পটীয়সী এক টুর্নামেন্টের নাম সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। বিচিত্র ঘটনা ঘটছেই চলেছে চার দেশের এই প্রতিযোগিতায়। প্রথম লেগে বাংলাদেশ ও ভুটানের এক ম্যাচে দুই অর্ধ দুই মাঠে খেলা এবং টুর্নামেন্টের মাঝপথে ভেন্যু বদল হয়েছে। এর মধ্যে আবার ফুটবলারদের বড় শাস্তির ঘটনাও ঘটল। তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের তারকা ফরোয়ার্ড মোসাম্মত সাগরিকাকে। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার ম্যাচের ৫৪ মিনিটে সাগরিকা সরাসরি লাল কার্ড দেখেছিলেন। নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানও একই শাস্তি পেয়েছিলেন। লাল কার্ডে সাধারণত পরের এক ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকেন সংশ্লিষ্ট ফুটবলার। রেফারি, ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টেরভিত্তিতে অনেক সময় এই সংক্রান্ত শাস্তির মেয়াদ ও ধরন বৃদ্ধি পায়। সাফ এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও নেপালের ফুটবলারকে বড় শাস্তি দিয়েছে। দুই ফুটবলারকেই সমান তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫০০ ডলার করে জরিমানা করেছে। গত বুধবার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা বরাবর সাফ থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। সাফের বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে এত বড় শাস্তি পেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) খানিকটা বিষ্মিত।

বাফুফে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ আপিল করতে গেলে তাদের আরও কয়েকশো ডলার জমা দিতে হবে। সাগরিকাকে জরিমানা করা হলেও, বাফুফেই এই অর্থ পরিশোধ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, টুর্নামেন্টের স্বাগতিক হিসেবে সাফ থেকে বাফুফেকে যে আর্থিক অনুদান দেওয়া হচ্ছে, সেখান থেকেই এই জরিমানার অর্থ সমন্বয় করা হতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সাগরিকা ভুটানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে খেলতে পারবেন না। এছাড়া, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচেও তাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে দলকে। আগামী ২১ জুলাই নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচটি টুর্নামেন্টের অলিখিত ফাইনাল হতে পারে এবং সেই ম্যাচেই সাগরিকা মাঠে ফিরতে পারবেন। এদিকে নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানই এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তা সত্ত্বেও সাগরিকার সমান শাস্তি পাওয়ায় বাফুফে সাফের সিদ্ধান্তে কিছুটা হতাশ হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত