নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠনের দেড় মাসের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি সালাহউদ্দিন আলমগীর। জানা গেছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে নিজের পদত্যাগপত্র দেন তিনি। নতুন গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে প্রথম পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ যে কোনো ফেডারেশনে বড় আয়োজন। এত বড় টুর্নামেন্টের দাওয়াতপত্রে সভাপতির নাম ছিল না। সেখানেই খটকার সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার টুর্নামেন্টের সমাপনী দিনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল কবির সুমন সভাপতির পদত্যাগের বিষয়টি সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সামনে আনেন, ‘আমাদের সভাপতি পদত্যাগ করেছেন। সেই চিঠি তিনি ফেডারেশন, এনএসসি, মন্ত্রণালয়ে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণেই তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাড়িয়েছেন।’
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের আগে সভাপতির পদত্যাগ একটা বড় ধাক্কা ছিল। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই ধাক্কা সামলেছে ফেডারেশন, ‘সভাপতির পদত্যাগ ফেডারেশনের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। ফেডারেশনের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেই ধাক্কা কাটিয়ে সুন্দর জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ সমাপ্তি হয়েছে’- বলেন নির্বাহী সদস্য কামরুজ্জামান রতন।
চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি প্রকাশ করে। নতুন কমিটির সভাপতি দায়িত্ব নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছিলেন। আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করার কারণ সম্পর্কে সালাহউদ্দিন আলমগীর বলেন, ‘কারও সঙ্গে কোনো দূরত্ব বা সমস্যা হয়নি। ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে যতটুকু সময় দেওয়া প্রয়োজন সেটা দিতে পারব না। নিজস্ব ব্যস্ততার জন্য সরে এসেছি। তবে খেলাটির উন্নয়নে যতটুকু সহায়তা করার দরকার সেটা পেছন থেকে করার সর্বাত্নক চেষ্টা করব।’
ব্যস্ততা জেনেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এক মাসের মধ্যে সেই ব্যস্ততার জন্য দায়িত্ব পালনে অপরাগতা খানিকটা প্রশ্নের জন্ম দেয়। এ নিয়ে পদত্যাগ করা সভাপতির মন্তব্য, ‘আমি সময় দিতে পারব না এরপরও পদে থাকার প্রয়োজন মনে করিনি এজন্য কিন্তু মাস খানেক পরই (জুনের প্রথম সপ্তাহ) পদত্যাগপত্র দিয়েছি। মন্ত্রণালয়-এনএসসি সেটা গ্রহণও করেছে।’
পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর জুনের শেষ সপ্তাহে বিওএ সভাপতির সঙ্গে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে বৈঠক করেছিলেন।
এ নিয়ে তার ব্যাখ্যা, ‘এটা পূর্ব নির্ধারিত বাইনেমে ছিল এবং সেটা ফেডারেশনের অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই গিয়েছিলাম এবং সেখানে আলোচনার বিষয়টিও ফেডারেশনকে অবহিত করেছি।’ ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটির প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদণ্ডমন্ত্রণালয় যাচাই বাছাই করে বিভিন্ন ফেডারেশনের কমিটি গঠন করেছে।
সার্চ কমিটি বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা ও সম্মতিরভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোর কমিটির নাম প্রস্তাব করে। সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন এবং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ব্যাডমিন্টনে অ্যাডহক কমিটি গঠনে তার ভূমিকাই বেশি ছিল ধারণা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের। রানার ব্যাডমিন্টনেই সভাপতির পদত্যাগের ঘটনা ঘটল।