ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মৃত্যুর সময় মানুষের অনুভব

ফারহাতুল ইসলাম
মৃত্যুর সময় মানুষের অনুভব

সবার জীবনে মৃত্যু পরম সত্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমাদের সবাইকে (তোমাদের কর্মের) পুরোপুরি প্রতিদান কেয়ামতের দিনই দেওয়া হবে। অতঃপর যাকেই জাহান্নাম থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হবে ও জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হবে, সে-ই প্রকৃত অর্থে সফলকাম হবে। আর (জান্নাতের বিপরীতে) পার্থিব জীবন তো প্রতারণার উপকরণ ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন একজন মুমিন মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছায়, তখন আসমান থেকে সুন্দর ও উজ্জ্বল চেহারার ফেরেশতারা আসেন। ফেরেশতারা জান্নাতের সুগন্ধি ও কাফন নিয়ে আসেন। মালাকুল মাওত বলেন, ‘হে শান্ত আত্মা, আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টির দিকে বেরিয়ে এসো।’ আত্মা তার শরীর থেকে পানির ফোঁটার মতো সহজে বেরিয়ে যায়। আর বদকারের প্রাণ নেন আজাবের ফেরেশতারা। তারা কালো চেহারা নিয়ে আসেন। তারা বলেন, ‘হে নাপাক আত্মা! আল্লাহর গজব ও ক্রোধের দিকে বের হয়ে আয়।’ আত্মা তখন কষ্ট সহকারে ছটফট করে বের হয়।’ (মুসনাদে আহমদ : ১৮৫৫৭)।

মৃত ব্যক্তিকে কবরে প্রতিদিন জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কোনো ব্যক্তি মারা যায়, তখন সকাল-সন্ধ্যায় তার পরকালের আবাসস্থল তার কাছে পেশ করা হয়। যদি সে জান্নাতবাসী হয়, তবে তাকে জান্নাতবাসীর আবাস স্থান আর যদি সে জাহান্নামবাসী হয়, তবে তাকে জাহান্নামবাসীর আবাস স্থান দেখানো হয়।’ (বোখারি : ৩২৪০)।

মৃত্যুর পর পরকালে সফল জীবন ও জান্নাত লাভের জন্য পৃথিবীতেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। বেশি বেশি নেক আমল করতে হবে। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ভালো ও পুণ্যের কাজ খারাপ মৃত্যু থেকে বাঁচিয়ে রাখে, গোপনে দান আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বয়স বৃদ্ধি করে।’ (তাবরানি কাবির : ৮০১৪)।

লেখক : আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত