আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা নির্ভর করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর। তবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন থেকেই প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, সংস্কার কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত হলে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এবং দীর্ঘমেয়াদী হলে ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সোমবার সকালে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, "কমিশন প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে আগামী ডিসেম্বরকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভোটার তালিকা প্রক্রিয়া যেন সহজ ও কার্যকর হয়, সেজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোনো বৈধ নাগরিক যেন ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।"
ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "ভোটার তালিকা সম্পর্কে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং দ্বৈত ভোটার ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।" তিনি জানান, "দেশের ভোটার তালিকা থেকে ১৮ থেকে ২৪ লাখ মৃত ব্যক্তির নাম বাদ পড়তে পারে।"
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা।
সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার নগরীর বিভিন্ন স্থানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।