কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে রোমাঞ্চকর নৌ-বিহারে যুক্ত হলো বিলাসবহুল পর্যটন জাহাজ কেয়ারী ক্রুজ এণ্ড ডাইন। শহরের নুনিয়া ছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে মহেশখালী-সোনাদিয়া রুটে এই ক্রুজটি চলাচল করবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জমকালো উদ্বোধনের মাধ্যমে এই রুটে জাহাজটি যাত্রী পরিবহন শুরু করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক ডা. শাহ আলম, কেয়ারী ট্যুরস এণ্ড সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক শামিনা কাশেম পান্না, এস, এম আবু নোমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর সহসভাপতি এম আর মাহবুব, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট ক্লাবের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, কেয়ারী ট্যুরস এণ্ড সার্ভিস লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক মো: শাহ আলম, কক্সবাজার অফিস ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী, কাে-অর্ডিনেটর নুর মোহাম্মদ, টুয়াকের সহসভাপতি একেএম মনিবুর রহমান টিটু, ফ্ল্যাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির হিমু। প্রতিদিন সকাল ১০ টায় জাহাজটি মহেশখালীর উদ্দেশ্যে নিয়মিত ছেড়ে যাবে এবং সমুদ্র বিহার শেষে দুপুর ২ টায় ফিরে আসবে।
জাহাজটিতে ভ্রমণে দেখা মিলবে বাঁকখালি নদীর অপরূপ সৌন্দর্য, সুন্দরবন এর আদলে গড়ে উঠা ম্যানগ্রোভ, বিশ্বের দীর্ঘ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মোহনা, দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী, আদিনাথ মন্দির, বৌদ্ধ মন্দির, সোনাদিয়ার দৃষ্টিনন্দন উপকূল, দেশের বৃহৎ খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, শুঁটকি মহাল নাজিরারটেক, কক্সবাজার বিমান বন্দরের বর্ধিত রানওয়ে। এছাড়া জাহাজ থেকে সূর্যাস্ত অবলোকন এনে দেবে অন্যরকম অনুভূতি। জাহাজে রয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান, ইফতার পার্টি, জন্মদিনের কেক কাটা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আনন্দ ভ্রমণ ও আলোচনা সভা করার মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। ব্যবস্থা আছে দুপুরের সুস্বাদু খাবারের।
সারাদিন পুরো আয়োজনের পর এই প্যাকেজটির শুভেচ্ছা মূল্য রাখা হয়েছে জনপ্রতি পার্লাউঞ্জে ১৬০০ ও কোরাল এক্সক্লুসিভে ১৩০০ টাকা করে সমুদ্র ভ্রমণ করতে পারবে। উক্ত টিকিটের সাথে কমপ্লিমেন্টারি খাওয়া-দাওয়া থাকবে। ট্যুরিজম সেক্টরে দিগন্ত সৃষ্টিকারী "কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইন "এর এই উদ্যোগ পূর্বের ন্যায় কক্সবাজার এর পর্যটন শিল্পে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।