ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) একটি বড় অংশ এসএমই খাত থেকে আসে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এই খাতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।”
রোববার (৮ জুন) বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এই খাতের উন্নয়নে আন্তরিক। টেকসই শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ভূমিকা আরও জোরালো হওয়া দরকার।”
বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এই দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য— ‘অ্যাক্রেডিটেশন: এমপাওয়ারিং স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (এসএমই)’— সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক।”
ড. ইউনূস জানান, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি পণ্য ও সেবার মান নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ জনবল গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কারিগরি বাধা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, “বিএবি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ লক্ষ্যে কাজ করে আসছে এবং ইতোমধ্যে ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি ও বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়েছে।”
সবশেষে তিনি বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।