অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্কাউটস আন্দোলন দেশের তরুণদের দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নারীদের স্কাউটসে অংশগ্রহণ বাড়াতে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহরের যমুনার হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ৭ দিনব্যাপী ৭ম জাতীয় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প (কমডেকা) কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণাকালে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৪ সাল থেকে বাংলাদেশ স্কাউটসে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ স্কাউটসে মেয়েদের সংখ্যা মোট স্কাউটসের সংখ্যার ১৩ শতাংশেরও কম। এ সংখ্যাকে আরো বাড়াতে হবে। দেশে স্কাউটসের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়ন কার্যক্রমের অবারিত সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ রোভার স্কাউটরা কাজে লাগাতে পারে। শুধু জাতীয় পর্যায়ে নয়, অঞ্চল ও জেলা পর্যায়েও এ ধরনের সমাজ উন্নয়ন ক্যাম্পের আয়োজন করা যেতে পারে। আমি নিজেও একজন স্কাউটস ছিলাম। এবারের কমডেকা থিম নির্ধারণ করা হয়েছে-‘বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে স্কাউটিং’ এটা অত্যন্ত সময় উপযোগী।
তিনি বলেন, এদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুযোগ করে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্ম দেশের প্রাণশক্তি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপযোগী করে তুলতে হবে এ দেশকে। আর যেন এ দেশের মাটিতে কোনো স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ইতিহাস আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছে এবং সুযোগের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। আমরা সবাই মিলে সত্যিকারের একটি সুন্দর বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
বাংলাদেশ স্কাউটসের উপ-পরিচালক হামজার রহমান শামীমের সঞ্চালনায় অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন, অধ্যাপক ফাহমিদা, মু. তৌহিদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, আবু সালেহ মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহব্যাপী এ কমডেকায় দেশের প্রায় ৫ হাজার রোভার স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক রোভার ও কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। অংশগ্রহণকারী রোভার স্কাউটরা সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে ১৪টি আকর্ষণীয় চ্যালেঞ্জিং প্রোগ্রামে অংশ নেবেন।