বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গ্রাম ও শহরের মধ্যে কোনো বৈষম্য রাখা হবে না। দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। তবে আসন্ন রমজানে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই।
শুক্রবার বিকেলে যমুনা সেতু পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সেচ উৎপাদন বিদ্যুৎ ব্যাহত না হয় এবং সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ৯ হাজার মেগাওয়াট এবং গ্রীষ্ম মৌসুমে বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ থেকে ১৮ হাজার মেগাওয়াট দাঁড়ায়। এই পার্থক্য হয় সেচ ও এসির কারণে। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এসির তাপমাত্রা যদি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা বেশি থাকে ২/৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আগে গরমের মৌসুমে এসি শুধু শহরের মানুষ ব্যবহার করতেন। এখন গ্রামের মানুষও এসি ব্যবহার করে থাকে। এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে চালালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। এরআগে তিনি যমুনা নদীর হার্ডপয়েন্টে সাত দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্পের (কমডেকা) সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গণপতি রায়, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের এমডি কামরুল ইসলাম সরদার, সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল, সাসেক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন|