কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে সংঘটিত এ ডাকাতির ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত তিনটার দিকে চকরিয়া থানার পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় ডাকাত দলের লুট করা ১০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাটাখালী এলাকার মমতাজ উদ্দিন আহমদের ছেলে মো. হানিফ (৪৩), ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাহারিয়াঘোনা খন্দকার পাড়া এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে মো. নয়ন (৪৫) এবং কাহারিয়াঘোনা ঘাট পাড়া এলাকার কবির আহমদের ছেলে মো. ইসমাইল (৩৫)।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া জানান, ডাকাতির খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে মো. হানিফকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নয়ন ও ইসমাইলকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী রুবি দাশ থানায় ডাকাতির ঘটনায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। এছাড়া, ডাকাত চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত শনিবার ভোররাতে চকরিয়া থানার বাউন্ডারি ওয়ালের কাছে এবং সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কার্যালয়ের অদূরে বাটাখালী হিন্দুপাড়া এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৬-৭ জনের একটি মুখোশধারী ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে প্রবাসী শ্রীমন্ত দাশের বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে ফেলে।
ডাকাতরা গৃহকর্তার মেয়ের গলা থেকে স্বর্ণালঙ্কার, আলমারিতে রাখা নগদ ১২ হাজার টাকা ও একটি রুপার অলঙ্কার সেটসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে নেয়। এসময় বাধা দিতে গিয়ে বাড়ির পাহারাদার রবিন্দ্র দাশ ছুরিকাঘাতে আহত হন।
থানার এত কাছে এমন একটি ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশের তৎপরতায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনজন ডাকাত গ্রেফতার হওয়ায় এলাকাবাসী স্বস্তি প্রকাশ করেছে।