সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় মরিচ চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। হাইব্রিডসহ বিভিন্ন জাতের মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি বাজার দর ভালো থাকায় দারুণ খুশি কৃষকেরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলসহ জেলায় প্রায় ১৬০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও, কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে মরিচ চাষ করেছেন।
উন্নত জাতের মধ্যে যমুনা, বিজলী, রশনী, ঝিলিক ছাড়াও বারি-৩, সুপার সনিক, বগুড়া ও রংপুরীসহ স্থানীয় জাতের মরিচ চাষ করেছেন চাষিরা। প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ২ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ উৎপাদন হয়েছে। জেলায় এবার মোট ৩৫১৯ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং শুকনা মরিচ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে মরিচের চাষাবাদ হয়েছে।
কৃষকেরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। এখন মাঠ থেকে মরিচ উত্তোলন, শুকানো এবং সংরক্ষণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। চরাঞ্চলের নাটোয়ারপাড়া, সোনামুখী, মাইঝবাড়ি, ওমরপুর বাজার ও শুভগাছা হাটে কাঁচা ও শুকনা মরিচের কেনাবেচা জমে উঠেছে। এসব মরিচ স্থানীয় হাট থেকে কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, "চরাঞ্চলের মাটি মরিচ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কৃষি বিভাগের পরামর্শ আর কৃষকদের পরিশ্রমে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার দরও ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।"